Schools

বনগাঁয় শিক্ষকদের হুমকির অভিযোগ কাউন্সিলরের শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে, থানায় অভিযোগ দায়ের

অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্বামীকে পাল্টা শারীরিক নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন। পুলিশেও অভিযোগ জানাবেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩ ১৩:০৪
file image of the bongaon school

কুমুদিনী গার্লস স্কুল (বাঁ দিকে), বনগাঁ থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়ার শিক্ষিকারা (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং আপত্তিকর আচরণের প্রতিবাদে বনগাঁর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযুক্ত শিক্ষক অমিতাভ দাসের স্ত্রী বনগাঁ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বন্দনা দাস কীর্তনিয়া। অভিযোগ, তার জোরেই শিক্ষক স্বামী স্কুলে স্বেচ্ছাচারিতা চালান। বৃহস্পতিবার স্কুলের শিক্ষকরা দলবদ্ধ ভাবে বনগাঁ থানায় এসে সহশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তের স্ত্রী তৃণমূল কাউন্সিলর।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ কুমুদিনী গার্লস স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষকদের অভিযোগ, অমিতাভ দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সহ শিক্ষক, শিক্ষিকাদের নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে প্রার্থনা চলাকালীন ছাত্রী এবং অভিভাবকদের সামনেই সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশে তেড়ে যান অমিতাভ। এর পরেই শিক্ষক, শিক্ষিকারা নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে অমিতাভের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হন। কুমুদিনী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা মলিনা শিকদারের অভিযোগ, অমিতাভ স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করান না। তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রী জনপ্রতিনিধি। সেই কারণ দেখিয়ে অমিতাভ সঠিক সময়ে স্কুলেও আসেন না। স্কুলের প্রার্থনা চলাকালীন আজ (বৃহস্পতিবার) এক শিক্ষিকার উপর চড়াও হন। উনি সব সময়ই হুমকি দিয়ে থাকেন, সুন্দরবন ট্রান্সফার করিয়ে দেবেন। প্রতিবাদ করলেই হুমকি দিতে থাকেন। আমরা এর প্রতিকার চাই।’’ স্কুলের এক শিক্ষিকার অভিযোগ, অমিতাভের হুমকির জেরে তাঁরা রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর আবেদন, প্রশাসন যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়।

শিক্ষিকাদের অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক অমিতাভের স্ত্রী বন্দনা বলেন, ‘‘স্কুলের ভিতরে কী হয়েছে জানা নেই। তবে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সে খবর শুনে ছুটে এসেছি। তাঁকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, না হলে একজন হাসপাতালে ভর্তি হন না। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ব্যবহার, আচরণ ভাল নয়। তিনি আগে যে স্কুলে ছিলেন, সেই স্কুলেও এ রকম অশান্তি করে এসেছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।’’

আরও পড়ুন
Advertisement