হাতেকলমে: সজনেখালিতে বনকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জঙ্গলে ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।
গত এক বছরে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কতটা বেড়েছে, তা জানতে ফের সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু করতে চলেছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প।
কাল, সোমবার থেকে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের ছবি তোলার কাজ শুরু করবেন বনকর্মীরা। ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি বিশ্লেষণ করে বাঘের সঠিক সংখ্যা কত, তা জানা যাবে। কী ভাবে জঙ্গলে ক্যামেরা বসাতে হবে, ক্যামেরার সামনে বাঘকে আকৃষ্ট করতে কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে— এই সব বিষয়ে প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে সজনেখালিতে। জনা পঞ্চাশ বনকর্মী যোগ দেন।
গত বছর দেশজুড়ে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছিল। সুন্দরবনে ১০১টি বাঘ রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। প্রতি চার বছর অন্তর সারা দেশে বাঘসুমারি হয়ে থাকে। তবে প্রতি বছর সুন্দরবনে ব্যাঘ্র প্রকল্পের উদ্যোগে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণের কাজ চলে। এ বারও সেই কাজ শুরু হচ্ছে। বন দফতর জানিয়েছে, এ বার জঙ্গলে ৭৩২টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে ক্যামেরা বসানোর জন্য। প্রতি জায়গায় দু’টি করে, মোট ১৪৬৪টি ইনফ্রা রে প্রযুক্তিসম্পন্ন স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হবে। পঁয়ত্রিশ দিন বাদে ক্যামেরা খোলা হবে।
গত কয়েক বছরে সুন্দরবনে আগত পর্যটকেরা বার বার বাঘের দেখা পাচ্ছেন। বন দফতরের কর্তাদের একাংশের মতে, এর অন্যতম কারণ, বাঘেদের সংখ্যা বৃদ্ধি। এই তথ্য গত বাঘসুমারির রিপোর্ট থেকেও পরিষ্কার। এ বারও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও ২৪ পরগনা বন বিভাগ এলাকায় যে বাঘ গণনার কাজ শুরু হতে চলেছে, তার ফল ভাল হবে বলেই আশাবাদী বনাধিকারিকেরা। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “গত কয়েক বছরে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে। আমরা আশা করছি, এ বারের সুমারিতেও সেই সংখ্যাটা বৃদ্ধির দিকেই থাকবে।”