—প্রতীকী চিত্র।
মায়ের দেওয়া সাক্ষ্যে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের হল ছেলের। একটি খুনের মামলায় এই রায় দিলেন বারুইপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক কৃষ্ণেন্দু সরকার।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর। কুলতলি থানা এলাকার বাসিন্দা যদু মান্নার সঙ্গে বিয়ে হয় বর্ধমানের রমা মান্নার। ফোনে কারও সঙ্গে প্রায়ই কথা বলতেন রমা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি বেধে থাকত। ঘটনার দিনও চরম অশান্তি হয়। রাতে রমা ঘুমিয়ে পড়ার পর অভিযুক্ত স্বামী কাস্তে দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। দুয়ারে ঘুমাচ্ছিলেন যদুর মা। গভীর রাতে পুত্রবধূর আর্তনাদ শুনে দৌড়ে যান তিনি। ঘরে ঢুকে দেখেন, তাঁর বৌমা গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছেন। কুলতলি থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার হয় বাড়ির পিছন থেকে।
ঘটনার পর থেকে হেফাজতেই ছিলেন অভিযুক্ত। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত বিচারও শুরু হয়। মোট ২২ জন এই মামলায় সাক্ষী দেন। শুনানির পর বিচারক অভিযুক্তকে ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত করেন ও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।