Road Accident

স্কুলের সামনেই সব্জি বোঝাই গাড়ির ধাক্কা, মৃত্যু ১৩ বছরের ছাত্রের! কুলতলিতে অবরোধ

ইতিমধ্যে গাড়িচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনও দুর্ঘটনা হলেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দু’দিন কাটতে কাটতে না কাটতে আবার সেই অনিয়ম শুরু হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কুলতলি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৬

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

স্কুলের সামনেই সব্জিবোঝাই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুলপড়ুয়ার। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কুলতলি থানার পুলিশ। চলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত অগস্ট মাসে জেলার বেহালায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু ঘিরে শোরগোল শুরু হয়। ওই ঘটনার পর শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেয় প্রশাসন। কিন্তু আবার একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলতুলি ব্লকের কুন্দখালি গোদাবর অঞ্চলের কীর্তনখোলায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সামনে ফিরদৌস শেখ নামে এক স্কুলছাত্রকে একটি সব্জিবোঝাই গাড়ি ধাক্কা মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ছাত্রমৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেলাগাম গতিতে গাড়ি ছোটানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা। উত্তেজিত জনতা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কুলতলি থানার আইসি-সহ পুলিশ বাহিনী। তিনি স্কুল চলাকালীন রাস্তায় দু’জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েনের আশ্বাস দেন। জানান, ঘাতক গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। গাড়িচালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু উত্তেজনার প্রশমন হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনও দুর্ঘটনা হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দু’দিন কাটতে কাটতে না কাটতে আবার সেই অনিয়ম শুরু হয়। বস্তুত, গত অগস্ট মাসে সৌরনীল সরকার নামে এক খুদের মৃত্যু হয় পথদুর্ঘটনায়। আহত হন তাঁর বাবাও। ওই ঘটনার পর থেকে রাস্তায় রাস্তায় নিরাপত্তার বহর বেড়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের এই দুর্ঘটনার পর আবারও প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয়রা। অন্য দিকে, কী ভাবে এই দুর্ঘটনা হল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement