Ichamati River

জলপথ উন্নয়নে সেতুর শিলান্যাস শান্তনুর

বাঁশের সাঁকোর জায়গায় দু’টন পর্যন্ত ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৬৪ মিটার লম্বা কংক্রিটের সেতুর কাজ শুরু হবে অবিলম্বে, এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী। উভয় পাশে ১২০ মিটার অ্যাপ্রোচ রোড থাকবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪২
এখানেই হবে কংক্রিটের সেতু।

এখানেই হবে কংক্রিটের সেতু। নিজস্ব চিত্র।

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় ফি বছর বর্ষায় দুর্ঘটনা ঘটে পারাপার করার সময়। কংক্রিটের সেতুর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। পঞ্চায়েত বা লোকসভা ভোট এলেই সেতু নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজাও হয়েছে বিস্তর। শনিবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগরে ইছামতী নদীর উপরে চারঘাট পঞ্চায়েতের খদ্দরসিংহ এবং বাড়ঘরিয়া গ্রামকে সংযোগকারী সেতুর শিলান্যাস করলেন কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

Advertisement

পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ, আমরা স্বরূপনগরে সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইচ্ছা ছিল এটি। সেতুটি তৈরি হলে বনগাঁ মহকুমার সঙ্গে বসিরহাটের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এ ছাড়াও আমাদের সরকার ‘সাগরমালা’ প্রকল্পের অধীনে ১৩৬.২০ কোটি টাকায় এই এলাকায় তরনণীপুর সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ করছে। আমরা জলপথকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, জলপথ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিটি রাজ্য সমৃদ্ধ হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্যও তাই। ইছামতী নদীর সার্বিক সংস্কারে কেন্দ্রীয় সরকার নজর দিয়েছে। ‘পাখির চোখ’ করে জলপথ সংস্কারের বিষয়ে মন্ত্রীর পরিকল্পনা শুনে উপস্থিত বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছর বর্ষাকালে স্বরূপনগরের চারঘাট পঞ্চায়েত, তেপুল মির্জাপুর, সগুনা পঞ্চায়েত-সহ বনগাঁর গোবরডাঙার বেশ কিছু অংশ জলে ডুবে থাকে ইছামতী নদীর সংস্কার না হওয়ার জন্য। শুধু সেতু করে কি সেই সমস্যা মিটবে?

বাঁশের সাঁকোর জায়গায় দু’টন পর্যন্ত ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৬৪ মিটার লম্বা কংক্রিটের সেতুর কাজ শুরু হবে অবিলম্বে, এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী। উভয় পাশে ১২০ মিটার অ্যাপ্রোচ রোড থাকবে। সেতু তৈরিতে খরচ বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। সেতু তৈরি হলে সার্বিক ভাবে এলাকার উন্নতি হবে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।

১২ টি পঞ্চায়েত নিয়ে স্বরূপনগর। যার এক দিকে তিনটি পঞ্চায়েত, অন্য পারে ন’টি পঞ্চায়েত। প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে সেতুর উপর নির্ভরশীল। সেতু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু স্বরূপনগর এখনও উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। নদী বেষ্টিত এই এলাকায় একাধিক নদীর উপরে যে কাঠের সেতুগুলি আছে সেগুলোও দীর্ঘদিন সংস্কার হয় না। রাজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উন্নয়ন করুক। আমরা চাই সীমান্তে উন্নয়ন হোক। তাহলে দেশ সুরক্ষিত থাকবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যে ঘটনা আমরা দেখলাম তাতে আগে দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা প্রয়োজন।’’

Advertisement
আরও পড়ুন