—প্রতীকী চিত্র।
শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় জয়নগর-মজিলপুর থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য শিলান্যাস হয়েছিল। সে সময়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাইনটি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ওই লাইন সম্প্রসারণের কাজ সহ লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পর্যাপ্ত ট্রেন চলাচল ও লক্ষ্মীকান্তপূর থেকে নামখানা পর্যন্ত ডবল লাইন পাতার জন্য মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার আবেদন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে।
রেল দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে রায়দিঘি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ট্রেনে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রেললাইন সম্প্রসারণের কথা ওঠে। সে সময়ে রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রায়দিঘি বাজারে জয়নগর-মজিলপুর থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে শিলান্যাস করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী ও বিভিন্ন নেতা। কিন্তু কাজ হয়নি।
লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে নামখানা পর্যন্ত লাইন সম্প্রসারণ হয়েছিল ১৯৯০ সালের দিকে। এত বছর কেটে যাওয়ার পরেও সিঙ্গল লাইনে যাতায়াত চলছে। নামখানা থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৯ কিলোমিটার রেলপথ সিঙ্গল লাইন থাকায় সমস্যা হচ্ছে বলে স্থানীয় মানুষ জানান। এলাকার নামখানার বাসিন্দা, জেলা পরিষদের সহ সভাপতি শ্রীমন্ত মালি বলেন, ‘‘সাংসদ যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, এর জন্য ধন্যবাদ। লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে নামখানা পর্যন্ত ডবল লাইন বিশেষ প্রয়োজন। এখানে রাজ্যের অন্যতম বড় মেলা, গঙ্গাসাগর মেলা রয়েছে। ভিন্ রাজ্য থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে করে সহজেই সাগর মেলায় আসতে পারবেন। তা ছাড়া, বকখালি পিকনিক স্পট এবং পাথরপ্রতিমা বিভিন্ন পিকনিক স্পটে পর্যটকদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।’’
বাপির কথায়, ‘‘রেলমন্ত্রীর কাছে নামখানা থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর ডবল লাইন এবং জয়নগর-মজিলপুর থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি, ওই কাজ শুরু হওয়ার আগে লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ১০-১৫ জোড়া ট্রেন বাড়ানোরআবেদন করেছি। কারণ, কুলতলি, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, মন্দিরবাজার ও জয়নগরের বহু মানুষ লক্ষ্মীকান্তপুর-শিয়ালদহ শাখার উপরে যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ নির্ভর করেন।’’