—প্রতীকী ছবি।
১১ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তরুণ। দুই কন্যাসন্তানের পিতাও তিনি। কিন্তু বিয়ের পর সহকর্মীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তরুণী সহকর্মীর সঙ্গে তরুণের স্ত্রীর দেখা হয়। সমঝোতা করে স্বামীর প্রেমিকার কাছ থেকে এক কোটি টাকা নেন তরুণের স্ত্রী। কথা দেন, তিনি শীঘ্রই বিবাহবিচ্ছেদ দিয়ে দেবেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার দু’বছর পরেও বিচ্ছেদ দেননি তিনি। তাই প্রেমিকার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু করেন তরুণী।
স্থানীয় সমাজমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি দক্ষিণপূর্ব চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের শিশি এলাকার। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ইয়াং নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন হ্যান। বিয়ের পর দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ইয়াং। চাকরিসূত্রে শি নামে এক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় হ্যানের। সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন হ্যান। একসঙ্গে ব্যবসাও শুরু করেন তাঁরা। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পুত্রসন্তান হয় শিয়ের। পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার পর হ্যানকে বিয়ে করতে চান শি। কিন্তু ইয়াং কিছুতেই বিচ্ছেদ দিতে চাননি হ্যানকে।
শেষ পর্যন্ত ইয়াঙের সঙ্গে দেখা করেন শি। কথোপকথনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ইয়াং বিবাহবিচ্ছেদ দেবেন হ্যানকে। কিন্তু তার পরিবর্তে শিয়ের কাছ থেকে টাকাও নেন তিনি। জানা যায়, ২০২২ সালের শেষের দিকে শিয়ের কাছে ইয়াং ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৬৯ টাকা নেন। কিন্তু বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও বিবাহবিচ্ছেদ দেননি তিনি। ইয়াঙের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শি।
তবে তাতে বিশেষ লাভ হয় না। তদন্ত করে জানা যায়, পরকীয়া সম্পর্কে থাকাকালীন শিয়ের জন্য ৬ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮৪৮ টাকা খরচ করেছেন হ্যান। যে হেতু, হ্যান এবং ইয়াঙের এখনও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি তাই সবকিছুই তাঁদের যৌথ সম্পত্তি। বরং শিয়ের কাছ থেকে ইয়াং টাকা ফেরত চাইতে পারেন। আদালত যে কোনও ভাবেই শিকে সাহায্য করতে পারবে না তাও স্পষ্ট জানিয়ে দেয়।