POCSO Case

বাড়িতে ঢুকে নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ! অভিযুক্তকে আটকে থানায় খবর দিলেন প্রতিবেশীরা

ছাত্রীর কান্নার শব্দ শুনে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে ছুটে যায়। নাবালিকার কাছে সব শোনার পরে ফোন করে অভিযুক্তকে ডাকেন এক প্রতিবেশী। অভিযুক্ত ফিরে এলে তাঁকে আটক করে রেখে থানায় খবর দেন তাঁর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৫

— প্রতীকী চিত্র।

বাড়িতে ঢুকে এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায়। ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাদুড়িয়া থানায়। পাশাপাশি নাবালিকা ছাত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে হোমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। অভিযুক্ত নির্যাতিতার পরিবারের পূর্বপরিচিত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের দুই সদস্য। মা সেলাইয়ের কাজ করেন। মেয়ে স্থানীয় হাসপাতালে পড়াশোনা করে। স্থানীয় একটি সেলাইয়ের কারখানা থেকে কাপড় এনে বাড়িতে সেলাই করে জামা-প্যান্ট ইত্যাদি তৈরি করে আবার কারখানায় দিয়ে আসেন তিনি। মূলত বাড়িতে বসেই তাঁর কাজ। তবে বৃহস্পতিবার রাতে নাবালিকার মা একটি কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে এক প্রৌঢ় বাড়িতে আসেন। তিনি সুদের কারবার করেন। নাবালিকার মায়ের কাজের সূত্রে চেনাশোনা। অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না-থাকার সুযোগে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করা হয়। নাবালিকা চিৎকার শুরু করতেই বাড়ি থেকে দৌড়ে পালান অভিযুক্ত।

অন্য দিকে, ছাত্রীর কান্নার শব্দ শুনে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে ছুটে যায়। নাবালিকার কাছে সব শোনার পরে ফোন করে অভিযুক্তকে ডাকেন এক প্রতিবেশী। অভিযুক্ত ফিরে এলে তাঁকে আটক করে রেখে বাদুড়িয়া থানায় খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে ঘটনার বিস্তারিত জেনে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার অভিযুক্তকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি নাবালিকা আদালতে আনা হয় গোপন জবানবন্দি নিতে।

আরও পড়ুন
Advertisement