রামপুরে বিজেপির প্রতিনিধি দলের বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালি যেতে না পেরে রাজভবনে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। সেখানে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। বেরিয়ে তাঁরা জানান, সন্দেশখালিতে আগামী কিছু দিনের মধ্যেই তাঁরা আবার যাবেন।
রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। ছয় সদস্যের দল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রামপুরে তাদের পুলিশ আটকে দেয়। সেখান থেকে রাজভবনে এসেছেন তাঁরা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি রওনা দিয়েছেন।
বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যেতে পারেনি। রামপুর থেকে সরাসরি তারা রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতির কথা জানাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। রিপোর্ট দেওয়া হবে জেপি নড্ডাকেও।
সন্দেশখালি যাওয়ার আগে রামপুুরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সেই বিক্ষোভ উঠে গিয়েছে। সন্দেশখালিতে যেতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।
সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা এলাকায় পৌঁছলেন দিলীপ ঘোষ। তবে তিনি সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন না। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন ন্যাজাটে বসেই। সন্দেশখালি থেকে দলীর কর্মীদের ন্যাজাটে এসে দেখা করতে বলেছেন দিলীপ।
ন্যাজাট থানা এলাকায় দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালি যেতে পুলিশের সঙ্গে দর কষাকষি করছেন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। জেপি নড্ডা ছয় সদস্যের দল গড়ে পাঠিয়েছিলেন। রামপুরে পৌঁছে পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে প্রথমে পাঁচ জন সন্দেশখালি যেতে চান। তার পর বিজেপির তরফে বলা হয় চার জন শুধু যাবেন। তাতেও পুলিশ রাজি না হওয়ায় সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হয়। মাত্র দু’জন সদস্য সন্দেশখালি যাবেন বলে পুলিশকে জানানো হয়। তা সত্ত্বেও অনুমতি মেলেনি।
প্রথমে বিজেপি বলেছিল, সন্দেশখালিতে শান্তি বজায় রেখেই তাঁদের পাঁচ জন প্রতিনিধি সেখানে যাবেন। বাকিরা রামপুরে বসে থাকবেন। পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা পরে পুলিশকে জানান, তাঁরা মাত্র দু’জন সন্দেশখালিতে যাবেন। তাতেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি। ফলে বচসা আরও বেড়েছে।
রামপুরে বসে শাসকদল বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্য এবং কর্মী, সমর্থকেরা। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়েছে।
রামপুরে বিজেপির প্রতিনিধি দলের বিক্ষোভস্থলে প্রচুর পরিমাণে মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে বচসা চলছে বিজেপি নেত্রীদের। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের অধিকাংশই মহিলা।
সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে তার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা রামপুরের রাস্তায় বসে পড়েছেন। পুলিশি বাধার সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অগ্নিমিত্রারা।
রামপুরে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন অগ্নিমিত্রারা। তাঁদের সন্দেশখালি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ আটকে দিয়েছে আগেই। বিজেপির তরফে জানানো হয়, তাদের পাঁচ জন প্রতিনিধি সন্দেশখালি পর্যন্ত যাবেন। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা হবে না। পুলিশ তা-ও শোনেনি বলে অভিযোগ।
সন্দেশখালি যাওয়ার আগে রামপুরে পৌঁছেছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। তাঁদের সেখানে আটকে দিয়েছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে বিজেপি নেত্রীদের বচসা শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে ঘুরছে। দলে আছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের কাছ থেকে গ্রামবাসীরা কে কত টাকা পান, তার খোঁজ নিয়ে তালিকা প্রস্তুত করছেন তাঁরা। টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। দলে আছেন সন্দেশখালির পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি মহেশ্বর সর্দার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী দাস এবং সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।
সন্দেশখালি ঢোকার আগেই রামপুরে ব্যারিকেড করেছে পুলিশ। এর আগেও বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকেরা সন্দেশখালি যেতে গিয়ে রামপুরে বাধা পেয়েছে। শুক্রবারও ব্যারিকেড দিয়ে তৈরি পুলিশ।
সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যসভায় তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী সাগরিকা ঘোষ শুক্রবার বলেন, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করে তৃণমূলকে ‘টার্গেট’ করছে বিজেপি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। মমতা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচার বরদাস্ত করা হবে না। তদন্ত করা হবে। মমতা রাজ্যের মহিলাদের জন্য যা করেছেন, আর কোনও দল তা করেনি।’’
It is unfortunate & despicable that @BJP4India is targeting @AITCofficial govt in Bengal by politicising incidents at Sandeshkhali. It’s a well orchestrated exercise before the Lok Sabha polls against the one CM who is standing up to them. @MamataOfficial has already made it… pic.twitter.com/om2LeOTl9Q
— Sagarika Ghose (@sagarikaghose) February 16, 2024
শিবু হাজরার গ্রেফতারির দাবিতে পোস্টার পড়ল সন্দেশখালিতে। এলাকার ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অত্যাচার, জমি জবরদখলের অভিযোগ রয়েছে। গত সপ্তাহে শিবুর পোলট্রি ফার্ম জ্বালিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
বিজেপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল নিউটাউন থেকে রওনা দেওয়ার আগে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, কোনও সভ্য সমাজে তা ঘটে না। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে এই ঘটনা ঘটছে, ভাবা যায় না। সরকার চায় না ওখানে কী হচ্ছে তা প্রকাশ্যে আসুক। আমরা নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলব।’’
বিজেপির প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, প্রতিমা ভৌমিক-সহ অন্যান্যরা। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা এবং সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোও দলের সঙ্গে রয়েছেন।