সন্দেশখালির পথে অধীর চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত।
বিজেপির পর রামপুর থেকে কংগ্রেসকেও ফিরে যেতে হল। অধীরকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তিনি রামপুরে ঘণ্টাখানেক ছিলেন। তার পর ফিরে গিয়েছেন।
পুলিশি বাধার মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধীর। সন্দেশখালিতে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি। রামপুর থেকে অধীরের হুঁশিয়ারি, আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন তাঁরা গড়ে তুলবেন।
পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ রামপুর। কংগ্রেস কর্মীদের রামপুর পেরিয়ে সন্দেশখালিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না অধীরকে। দফায় দফায় চলছে বচসা।
রামপুরে অধীর বলেন, ‘‘সন্দেশখালির সঙ্গে বাংলার মানুষের সম্মান জড়িয়ে আছে। সন্দেশখালির পঞ্চায়েত-সহ সব তৃৃণমূল পরিচালনা করে। এখানে যখন বাংলার মা-বোনেদের ভয়ঙ্কর দিনের কাহিনি প্রকাশ পাচ্ছে, আমরা তা মানতে পারছি না। আমাদের মূলধন সততা।’’
পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে রামপুর।
পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কেন আটকানো হল? আমরা তো মারামারি করতে আসিনি। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছেন কেন?’’ পুলিশ উত্তর দেয়নি।
রামপুরের রাস্তায় বসে শাসকদল বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই কারণেই সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানায় পুলিশ।
রামপুরে অধীরকে আটকে দিয়েছে পুলিশ। রাস্তায় বসে পড়েছেন তাঁরা।
সন্দেশখালি যাওয়ার আগে সরবেড়িয়ায় গাড়ি থেকে নেমে পড়েছেন অধীর। সেখান থেকে হেঁটে সন্দেশখালির উদ্দেশে তিনি রওনা দিয়েছেন।
সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের সদস্যেরাও। কিন্তু পথে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।
সন্দেশখালি যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ইতিমধ্যে তিনি রওনা দিয়েছেন।