Bhangar

ভাঙড়ে পুলিশ ও নাগরিকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে জোর জনসংযোগে

পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা শহরের থেকে ভাঙড়ের চরিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। মূলত গ্রামীণ ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছুই নতুন ভাবে করতে হচ্ছে লালবাজারকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:২৯
An image of Vineet Kumar Goyal

কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। —ফাইল চিত্র।

মাসখানেক আগে কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ শুরু করেছে লালবাজার। এ বার পুলিশ ও ভাঙড়ের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ দৃঢ় করতে সেখানকার থানাগুলিকে নির্দেশ দিলেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। লালবাজার সূত্রের খবর, এর প্রাথমিক অঙ্গ হিসাবে স্থানীয়দের নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা, মহিলাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো প্রকল্প শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। রবিবার ভাঙড়ের চারটি থানা— ভাঙড়, উত্তর কাশীপুর, পোলেরহাট ও চন্দনেশ্বর পরিদর্শনে যান নগরপাল। সেখানেই তিনি পুলিশকর্মীদের ওই নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা শহরের থেকে ভাঙড়ের চরিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। মূলত গ্রামীণ ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছুই নতুন ভাবে করতে হচ্ছে লালবাজারকে। সেই কাজ যাতে সহজে হয়, তার জন্য ‘কমিউনিটি পুলিসিং’ এবং জনসংযোগের উপরে জোর দিতে চাইছেন নগরপাল। এক পুলিশকর্তা জানান, কলকাতা পুলিশ এলাকায় যুবসমাজের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে স্থানীয়দের নিয়ে ‘ফ্রেন্ডশিপ কাপ’-এর আয়োজন করা হয়। ভাঙড়ে নবগঠিত চারটি থানাতেও তা করা হবে। পাশাপাশি, মহিলাদের বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দেওয়ার চিন্তাভাবনাও রয়েছে।

পুলিশকর্তাদের অভিমত, পুলিশের নাম শুনলেই অধিকাংশ মানুষ ভীত হয়ে পড়েন। সমস্যা বা অভিযোগ খুলে বলতে কুণ্ঠা বোধ করেন তাঁরা। সে জন্যই পুলিশ ও নাগরিকদের মধ্যে জনসংযোগ বৃদ্ধির কথা বলেছেন নগরপাল। পুলিশের মতে, এর ফলে অনেক তথ্য জানা যাবে। যাতে সুবিধা হবে কাজে।

সূত্রের খবর, রবিবার ভাঙড়ের চারটি থানার পরিকাঠামো দেখেন নগরপাল। তবে পুলিশের একাংশের অভিযোগ, ভাঙড়ের এলাকা প্রায় কলকাতার সমতুল। আগামী দিনে পুলিশকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি না পেলে পরিষেবা ধাক্কা খেতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement