Bhangar

ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীর মাকে মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করল পুলিশ

বৃদ্ধা আনোয়ারার দাবি, তাঁর ছেলে আইএসএফ কর্মী। পুলিশ তাঁর খোঁজে বাড়িতে আসে। তাঁদের পরিচয়পত্র চাওয়া হয়। তা দিতে অস্বীকার করায় মারধর করা হয়েছে। আনোয়ারার বৌমা বাড়ি ভাঙচুরের ছবি দেখান।

Advertisement
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ১১:০৩
Bhangar

আইএসএফ কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। —নিজস্ব চিত্র।

আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে ঢুকে তাঁর বৃদ্ধা মাকে মারধর এবং পরিবারের সদস্যদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িতেও। যদিও এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই এলাকার পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিল তারা।

পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। বার বার তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষ হয়েছে। এমনকি পুলিশকে লক্ষ্য করেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ক্রমাগত অশান্তির ঘটনায় ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। তার মধ্যে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করলেন ভাঙড়ের কাটাডাঙা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা বিবি এবং তাঁর পরিবার। বৃদ্ধা আনোয়ারার দাবি, তাঁর ছেলে আইএসএফ কর্মী। পুলিশ তাঁর খোঁজে বাড়িতে আসে। তাঁদের পরিচয়পত্র চাওয়া হয়। তা দিতে অস্বীকার করায় মারধর করা হয়েছে। আনোয়ারার বৌমা বাড়ি ভাঙচুরের ছবি দেখান।

Advertisement

উল্লেখ্য, সোমবার ভাঙড়-২ ব্লকের কাশীপুর থানার এই কাটাডাঙা এলাকাতেই পুলিশকে লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করার অভিযোগ উঠেছিল এলাকার আইএসএফ-এর মহিলা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ওই এলাকায় কাশীপুর থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি হয়। আইএসএফের অভিযোগ, তল্লাশির নামে তাঁদের এক মহিলা সমর্থকের বাড়িতে গিয়ে এক বৃদ্ধাকে মারধর করেছে পুলিশ। আক্রান্ত আনোয়ারা বিবি নামে ওই মহিলার কথায়, ‘‘আমার ছেলে আইএসএফ কর্মী। তাই আমার বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। রাতে এবং দুপুরে পুলিশ আসছে। জিজ্ঞেস করছে, ‘‘তোমার ছেলে কোথায়?’’ আধার কার্ড চাইছে সবার। আমাদের মারধর করেছে। বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলেছে। শুধু আমার ছেলে আইএসএফ কর্মী বলে এ ভাবে অত্যাচার করছে। রান্নাঘরে ঢুকে আমাদের মারধর করেছে পুলিশ।’’ আনোয়ারার পুত্রবধূ আঞ্জুরা বিবি বলেন, ‘‘আমার শাশুড়িকে মারধর করছে বলে আমি এগিয়ে যাই। তখন আমায় ঘিরে ধরে। আমাদের সবার আধার কার্ড চাইছে। দিইনি বলে মারধর করেছে।’’

যদিও পুলিশের দাবি ১৪৪ অমান্য করায় প্রথমিক তদন্তের জন্য ওই এলাকায় যাওয়া হয়েছিল। এলাকার মহিলারা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement