Baruipur Murder

স্ত্রী খুন হওয়ার পরেই মাথা মুড়িয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন! বারুইপুরে বধূ খুনে ধৃত স্বামী

বারুইপুরের এস়ডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, বধূ খুনে আর কেউ জড়িত আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে সোমবার বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বারুইপুর শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:১৮

—প্রতীকী ছবি।

দু’দিন আগেই বাড়ির অদূরে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয়েছিল এক বধূর দেহ। তখন থেকেই পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত স্বামী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে অঞ্জলি মণ্ডল খুনের ঘটনায় সেই স্বামীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রবীন মণ্ডল। রবিবার যৌথ ভাবে তল্লাশি অভিযান চালায় বারুইপুর ও মগরাহাট থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময়েই মগরাহাটের পশ্চিম বিলারিয়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়। মাথা মুড়িয়ে সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন রবীন।

Advertisement

বারুইপুরের এস়ডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, বধূ খুনে আর কেউ জড়িত আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে সোমবার বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন, দম্পতির মধ্যে বচসা থেকেই এই খুন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর মনসাতলার বাসিন্দা রবীন এবং ইন্দ্রাপালার বাসিন্দা অঞ্জলির বিয়ে হয় বছর ২০ আগে। প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন দু’জনে। ওই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। এক জনের বয়স ১৯ এবং আর এক জন নাবালক, বয়স ১৪। তারা মামাবাড়িতে থাকে। অভিযোগ, দুই সন্তানের উপর মত্ত অবস্থায় অত্যাচার করতেন রবীন। তা নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত।

এলাকাবাসীর কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবীন বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি করতেন। তাঁর নামে একাধিক মামলা আছে। বেশ কয়েক বার জেলও খেটেছেন। গত ২০ সেপ্টেম্বরই মারামারি করে গ্রেফতার হয়েছিলেন রবীন। ৫ অক্টোবর জামিনে ছাড়াও পেয়ে যান। তার পরেই এই ঘটনা। প্রতিবেশীদের দাবি, দশমীর দিন রবীন এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। তার পর থেকে আর অঞ্জলিকে কেউ দেখতে পাননি। পুলিশের অনুমান, সে দিনই খুন হন অঞ্জলি। অভিযোগ, প্রায়ই স্ত্রীর কাছে মদ খাওয়ার টাকা চাইতেন রবীন। না পেলেই চলত অত্যাচার। দশমীর দিনও মারধর করেন স্ত্রীকে।

পরিবার সূত্রে খবর, কয়েক দিন ধরে অঞ্জলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা। কোনও খোঁজখবর না পেয়ে তাঁরা শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন। রবীনকে জিজ্ঞাসা করেন অঞ্জলির ব্যাপারে। তার পরেও তাঁর হদিস মেলেনি। এর পর শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি জায়গায় মাটি খুঁড়ে অঞ্জলির দেহ পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অঞ্জলিকে পুঁতে দিয়ে উপরে খড় ছড়ানো হয়েছিল। তার উপরে বিছানো ছিল কাঠ। এই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে।

আরও পড়ুন
Advertisement