সুভাষগ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে ট্রেন। — নিজস্ব চিত্র।
ডায়মন্ড হারবারগামী লোকাল ট্রেনে আগুনের ফুলকি দেখা যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। সুভাষগ্রাম স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল। আপাতত শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আপ এবং ডাউন দুই লাইনেই ট্রেন চলাচল শুরু রয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ট্রেনের চাকা থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে দেখা যায়। ট্রেন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের মুখে পড়েন যাত্রীরা।
পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আপ লাইন দিয়েই ডাউনের ট্রেনও চালানো হচ্ছিল। রেল কর্তৃপক্ষ জানান, দাঁড়িয়ে পড়া ডায়মন্ড হারবার লোকালের যাত্রীদের একটি ডাউন ট্রেনে তুলে গন্তব্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ট্রেনটি আপ লাইন দিয়ে ডাউনের দিকে যাবে। পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সোনারপুর এবং বারুইপুরের মধ্যে একই লাইনে উভয় দিকের ট্রেন চলবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার শিয়ালদহ থেকে ডায়মন্ড হারবারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল লোকাল ট্রেনটি। বেলা ১২টা ১২ মিনিট নাগাদ সুভাষগ্রামে পৌঁছনোর পর যাত্রীরা ট্রেনের চাকার উপরে আগুনের ফুলকি দেখতে পান। প্ল্যাটফর্ম থেকেই চিৎকার করে ওঠেন অনেকে। দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রেল আধিকারিকেরা। কী কারণে চাকার উপরের দিকে আগুনের ফুলকি বেরোচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হয়। এর ফলে শিয়ালদহ থেকে দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বারুইপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুরের দিকে ট্রেন যেতে পারছিল না। উল্টো দিকের লাইনে পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। আপাতত দুই লাইনেই পরিষেবা স্বাভাবিক।
রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় ট্রেনে যাত্রীর চাপ ছিল তুলনামূলক কম। তবু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনে ভিড় বাড়তে শুরু করে। লাইনে একটির পর একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। সপ্তাহের অন্য কোনও দিনে এই সমস্যা হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেশি হত বলে মনে করা হচ্ছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘সুভাষগ্রামে যে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে আছে, তাতে ব্রেক বাইন্ডিং হয়েছে। সারানো হচ্ছে। ধোঁয়া বেরিয়েছিল বলে ট্রেন এগোতে পারছে না। তার পিছনে পিছনে বেশ কয়েকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আশা করছি, একটু পরেই স্বাভাবিক করতে পারব পরিষেবা।’’ অবশেষে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর পরিষেবা স্বাভাবিক হল।