ভাঙা হচ্ছে অস্থায়ী দোকান। রবিবার রাতে ভাটপাড়ায়। —নিজস্ব চিত্র
মধ্যরাতে ভাটপাড়ায় বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চালালেন স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষ। রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে প্রায় ২০০টি অস্থায়ী দোকানঘর বুলডোজ়ার দিয়ে ভাঙা হয়। অভিযান চলার সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া পুরসভার উপপুরপ্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ। এই বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।
কেন ওই অস্থায়ী দোকানদারদের পুনর্বাসন দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অর্জুন। অস্থায়ী দোকানগুলির পাশে তৃণমূলের দলীয় অফিস থাকলেও, তা কেন ভাঙা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ভাটপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক অর্জুন। তাঁর কথায়, “তৃণমূল চোরের মতো রাতে এসে উচ্ছেদ অভিযান চালাল। কিন্তু যে মানুষগুলি ওই দোকানগুলির মাধ্যমে পেট চালাতেন, তাঁদের কথা ভাবা হল না।” পুরসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আরও বেশি ব্যবধানে জিতবে বলেও দাবি করেন অর্জুন।
পুর কর্তৃপক্ষের যদিও বক্তব্য, ওই দোকানদারেরা স্বেচ্ছায় সরে গিয়েছেন। রাতে কেন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হল, এই প্রশ্নের উত্তরে উপপুরপ্রধান জানান, সরু জায়গায় যানজট এড়াতেই এই পদক্ষেপ। পুনর্বাসন বা বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই দেখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। উপপুরপ্রধানের কথায়, “এই দোকানদারেরা নিজেরাই দোকানের ২৫ শতাংশ ভেঙে ফেলেছিলেন। বাকি অংশ ভাঙতে আমরা প্রযুক্তিগত সাহায্য করলাম মাত্র।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন। তিনি নিশ্চয়ই বিকল্প একটি ব্যবস্থা করবেন।”
উল্লেখ্য, রাজ্যে কিছু দিন আগে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল। কলকাতার একাধিক বাজার এলাকা থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা শুরু করেছিল প্রশাসন। যার জেরে কোনও কোনও জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বেআইনি ভাবে সরকারি জমি দখল করা যাবে না।