গরম ভাতের সঙ্গে দারুণ জমবে এমন ভর্তা। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে ফোড়ন হিসেবেই নয়, আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতেও কালোজিরের ব্যবহার করা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হেঁশেলের এই মশলার জবাব নেই। দুয়ারে শীতকাল। এই সময় শিশু থেকে বাড়ির বয়স্ক সদস্য, সবাই কমবেশি সংক্রমণে ভোগেন। এই সময় মাঝেমধ্যে ভোজের থালায় রাখতে পারেন কালোজিরের ভর্তা।
পুষ্টিবিদদের মতে, এই মশলা ডায়েটে রাখলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়াও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে, হৃদ্রোগজনিত সমস্যার আশঙ্কা কমাতে, ত্বকের সুস্বাস্থ্য, আর্থ্রাইটিস ও মাংসপেশির ব্যথা কমাতে কালিজিরে বেশ উপযোগী। চেহারার কমনীয়তা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে টনিকের মতো কাজ করে এই মশলা।
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতেও কালোজিরে বেশ উপকারী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই মশলার জবাব নেই। লিভারের স্বাস্থ্যের জন্যেও কালোজিরে ভাল দাওয়াই হতে পারে।
কী ভাবে বানাবেন কালোজিরের ভর্তা?
উপকরণ:
আধ কাপ কালোজিরে
৩-৪ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি
৭-৮ কোয়া রসুন
২ টি কাঁচালঙ্কা
৪টি শুকনো লঙ্কা
২ টেবিল চামচ সরষের তেল
স্বাদমতো নুন
প্রণালী:
প্রথমে কালোজিরে ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে শুকনো করে নিন। এ বার শুকনো তাওয়ায় কালোজিরে দিয়ে ভাল করে ভেজে তুলে রাখুন। এ বার ওই তাওয়ায় তেল গরম করে পেঁয়াজ, রসুন আর কাঁচালঙ্কা, শুকনো লঙ্কা লাল করে ভেজে নিন। এ বার মিক্সিতে সব উপকরণ দিয়ে সঙ্গে স্বাদমতো নুন দিয়ে ভাল করে বেটে নিন। শিলে বাটলে স্বাদ আরও বেশি হবে। শেষে খানিকটা সর্ষের তেল মিশিয়ে দিন। তৈরি হয়ে যাবে কালোজিরের ভর্তা।