Covid 19

Deganga: কোভিড-আক্রান্ত হয়েও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কাজ ডাক্তারের! ক্ষোভে ফুঁসছে দেগঙ্গা

চিকিৎসকের কথায়,  “হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। বেশির ভাগই কোভিডে আক্রান্ত। আমাদের তো ইমার্জেন্সি কাজ। এক জন সুস্থ হয়ে এলে আমি চলে যাব।”

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:৫৯
কোভিড আক্রান্ত সেই চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র।

কোভিড আক্রান্ত সেই চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র।

তিনি নিজে কোভিড আক্রান্ত। তা সত্ত্বেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করেছেন! উত্তর ২৪ পরগনার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে এক চিকিৎসকের এমন কাজে ক্ষোভে ফুঁসছে দেগঙ্গা। কোভিড আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন ওই চিকিৎসকও। যদিও তাঁর দাবি, হাসপাতালে বেশির ভাগ চিকিৎসক কোভিড আক্রান্ত। চিকিৎসক নেই। তাই কাজ করতে হয়েছে।

তাঁর কথায়, “হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। বেশির ভাগই কোভিডে আক্রান্ত। আমাদের তো ইমার্জেন্সি কাজ। এক জন সুস্থ হয়ে এলে আমি চলে যাব। জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা যায়নি, তাই বাধ্য হয়ে চিকিৎসা করতে হয়েছে আমাকে।” তবে চিকিৎসা পরিষেবা দিলেও চিকিৎসকের এমন কাজে ক্ষুব্ধ এবং আতঙ্কিত রোগীর আত্মীয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।

সাধারণ মানুষকে কোভিড নিয়ে সচেতন করার কথা যাঁর, সেই চিকিৎসকের এমন ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসককে দিয়ে কেন কাজ করানো হচ্ছে, এ বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

Advertisement

কোভিড সংক্রমিত হয়ে কাজ করছেন চিকিৎসক, এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীদের আত্মীয় এবং এলাকাবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, সব জানা সত্ত্বেও জরুরি বিভাগে কী ভাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হল ওই চিকিৎসকে? বিশেষ করে জরুরি বিভাগের মতো জায়গা, যেখানে হাজার মানুষ আসেন, সেখানে কোভিড সংক্রমণ নিয়েই চিকিৎসা করলেন তিনি! রোগীর আত্মীয় এবং এলাকাবাসীরা এর প্রতিবাদে হাসপাতালে বেশ কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার জন্য আরও কেউ আক্রান্ত হলে তার দায় কে নেবে? কী ভাবে ওই চিকিৎসককে দিয়ে কাজ করামো হল, বিএমওএইচ-কে তার জবাব দিতে হবে বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement