বকখালিতে ধরা পড়া কুমির। নিজস্ব চিত্র।
খালের মধ্যে কুমির ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়াল সৈকত শহর বকখালিতে। নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার বিজয়বাটি এলাকার একটি খালের স্লুইস গেটের কাছে কুমিরটিকে দেখতে পান স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। খবর পেয়ে দ্রুত বকখালি রেঞ্জ অফিস থেকে বনকর্মীরা এসে কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল শনিবার বলেন, ‘‘কুমিরটিকে সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার ভগবৎপুর কুমির প্রকল্পে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আপাতত সেটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’’ তিনি জানান, বিজয়বাটি গ্রামের পাশেই সপ্তমুখী নদী। উল্টো পাড়ে লোথিয়ান অভয়ারণ্যের খাঁড়ি কুমিরের নিরাপদ আস্তানা। কিন্তু ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে সেখানকার বেশ কিছু অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার কারণেই সম্ভবত সেটি বকখালি লাগোয়া খালে চলে এসেছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার কয়েক জন মৎস্যজীবী খালের স্লুইস গেটের কাছে মাছ ধরছিলেন। সেই সময় তাঁর কুমিরটি দেখতে পান। এর পরেই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বনবিভাগের বকখালি রেঞ্জ অফিসে। পাশাপাশি, কয়েক জন মৎস্যজীবী মাছধরা জাল এবং দড়ি দিয়ে কুমির ধরতে নেমে পড়েন।
কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় অন্ধকারে কুমিরটিকে পাকড়াও পারেননি তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যে বকখালির বিট অফিসার শামিম প্রধান-সহ বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় কুমির ধরতে সক্ষম হন তাঁরা। প্রথমে সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বকখালিতে। শুক্রবার ভগবৎপুরে পাঠানো হয়। বকখালির রেঞ্জ অফিসার অশোক নস্কর জানিয়েছেন, ধরা পড়া পুরুষ কুমিরটি ১.৮৪ মিটার (৬ ফুটের সামান্য বেশি) লম্বা।
জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বকখালিতে এই প্রথম কুমির ঢোকার ঘটনা ঘটল। ফলে ঘটনা নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়।