Bangladesh Unrest

নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে রত্না, রিয়াজুলরা

সোমবার বিকেলে দু’দশের মধ্যে যাতায়াতের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
নির্মল বসু 
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৫
অশান্ত বাংলাদেশ।

অশান্ত বাংলাদেশ। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশে অশান্তির জেরে প্রভাব পড়েছে ঘোজাডাঙা সীমান্তেও। ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ তো হয়ে ছিলই, সোমবার থেকে কার্যত সীমান্ত বাণিজ্যে তালা ঝুলল। এর ফলে সীমন্তে আটকে থাকা কাঁচা মাল, বিশেষত আনাজ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী নষ্ট হবে বলে মনে করছেন ঘোজাডাঙা সীমান্তে কর্মরত দু’দেশের আধিকারিক ও কর্মীরা। সিএনএফ অ্যান্ড কার্গো ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল বলেন,‘‘এক দিন সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকলে ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি। বড় ক্ষতি কাঁচা মালে। সোমবার বিকেলে দু’দশের মধ্যে যাতায়াতের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ঘোজাডাঙা সীমান্ত পেরিয়ে কয়েকটি বাংলাদেশি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে এ দেশে। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের সাতক্ষিরার বাসিন্দা প্রকাশ মণ্ডল ও জায়েদা বিবিও ভিটেয় সব কিছু ফেলে রেখে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সীমান্ত পার হয়ে এসেছেন। তাঁরা বলেন, ‘‘দেশে যে ভাবে অশান্তি বাড়ছে তাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হলাম।’’ ঢাকা থেকে আসা পারমিতা সরকার, রোহিত মণ্ডল, রতন মালাকারের কথায়, ‘‘দেশে থমথমে পরিস্থিতি। ঢাকার পাশাপাশি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংরক্ষণ নিয়ে হিংসা। বাজার-ঘাট সব বন্ধ। এই পরিস্থিতে বাংলাদেশে থাকাটা বিপজ্জনক।’’ এ পারে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা খুলনার বাসিন্দা রিয়াজুল আলম, আখের আলি গাজি, রত্না পারভিন বলেন, ‘‘সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে আসার পথে কখনও সাইকেল ভ্যান, কখনও হেঁটে তবেই ভোমরায় পৌঁছই। সেখান থেকে ঘোজাডাঙা। কলকাতায় যাব আত্মীয়ের বাড়িতে।’’

যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন বারাসতের কাজিপাড়ার নাজিমুল গাজি। এক মাস মেয়াদের ভিসা ছিল। কয়েক দিন ধরে ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাইরেই বেরোতে পারেননি তিনি। রবিবার ছিল ভিসার মেয়াদের শেষ দিন। তাই ঝুঁকি নিয়ে শনিবার ভোররাতে ঘোজাডাঙার দিকে রওনা দেন তিনি। দুপুরে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘রাত জেগে হেঁটে ঘোজাডাঙায় পৌঁছতে পেরেছি। কত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরতে পারব সেই চিন্তা ঘুরছিল মাথায়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement