Sundarban

পুবের বাতাসে দাপট না থাকায় ভরা কোটালে প্লাবন থেকে রক্ষা পেলেন সুন্দরবনবাসী

ইয়াসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সুন্দরবন ও উপকূলের প্রায় ১৮০ কিলোমিটার নদী ও সমুদ্র বাঁধ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ ০০:০১

নিজস্ব চিত্র।

পূর্ণিমার কোটালের জেরে জলস্ফীতির আশঙ্কা থাকায় শনিবার বেশ আতঙ্কেই গোটা দিন কেটেছে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের। কিন্তু বাড়াবাড়ি তেমন কিছুই ঘটেনি। আবহাওয়া পরিষ্কারই ছিল। পুবের বাতাস না থাকায় বাঁধ ভেঙে প্লাবনের ঘটনা ঘটেনি। রেহাই পেলেন উপকূলবাসী। তবে নবান্নের সতর্কবার্তা পেয়ে সব রকম প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছিল জেলা প্রশাসন। উপকূল এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষকে আগেই ত্রাণ শিবিরের নিয়ে আসা হয়েছিল। রবিবার সকাল থেকেই তাঁদের বাড়ি ফেরানোর কাজ শুরু হবে। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে কোনও জায়গাতেই প্লাবনের ঘটনা ঘটেনি।’’

ইয়াসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সুন্দরবন ও উপকূলের প্রায় ১৮০ কিলোমিটার নদী ও সমুদ্র বাঁধ। সেই বাঁধগুলি মেরামতের আগেই কটালের জলস্ফীতি হলে ফের উপকূল প্লাবিত হওয়ার বড়সড় আশঙ্কা ছিল। সেচ দফতরের তৎপরতায় বাঁধ মেরামতির কাজ দ্রুত করা হয়েছিল। কটালের সময় পুবালি বাতাসের দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত হলেই নদী ও সমুদ্রে জলস্তর অনেকটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বারের পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদী ও সমুদ্রে বেশ কিছুটা জলস্তর বেড়েছিল। কিন্তু পরিষ্কার আবহাওয়া আর পুবালি বাতাসের দাপট না থাকায় প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা পেল সুন্দরবন ও জেলার উপকূল এলাকা।

Advertisement

আগেই জেলা প্রশাসন বেশ কয়েকটি বাঁধ সংলগ্ন জায়গাকে চিহ্নিত করে সেখানে নজরদারি বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে সাগরদ্বীপের বোটখালি, সুমতিনগর এবং ঘোড়ামারা দ্বীপের বেশ পাথরপ্রতিমার শ্রীধর নগরের বিজয়রঞ্জিতের ঘাটের কাছে জগদ্দল নদীর বাঁধ, বনশ্যামনগরের গঙ্গাপুরের চালতাবুনীয়া নদীর বাঁধ, কুয়েমুড়ির ঠাকুরান নদীর বাঁধ, রাক্ষসখালীর কার্জেন ক্রিকের বাঁধ এবং জি-প্লটের সিতারামপুরে বাঁধের উপর নজর ছিল প্রশাসনের। রায়দিঘির দমকল, ছাতুয়া মোড়ের কাছে মনি নদীর পাড়, সিংহের ঘেরি এবং কুমড়োপাড়া-খাঁমাথানি ও হাজরার ঘেরি এলাকাতেও জল ঢোকার সম্ভাবনা ছিল। পাশাপাশি নামখানা, কুলতলি, গোসাবা ব্লকেরও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি বেহাল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত মালী বলেন, ‘‘সকাল ১০টা নাগাদ জোয়ারের পরই বুঝে গিয়েছিলাম এ বার তেমন জলস্ফীতি হবে না। তবুও ত্রাণ শিবিরগুলো প্রস্তুত রেখেছিলাম।’’

আরও পড়ুন
Advertisement