Sundarbans

বাঘের সঙ্গে লড়াই করে ফেরালেন সঙ্গীকে

নৌকোর পিছনে ছিলেন গৌর। একটি বাঘ তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জলে পড়ে যায়। ঝন্টুরা দেখেন, গৌরের মাথা ও চোয়ালে থাবা বসিয়েছে বাঘ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০০:৪২
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সুন্দরবনের চামটার জঙ্গল লাগোয়া খালে কাঁকড়া ধরার সময়ে বাঘের হানায় গুরুতর জখম হলেন এক মৎস্যজীবী। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর জখম হয়েছেন গৌর মণ্ডল নামে বছর পঞ্চাশের ওই মৎস্যজীবী। বাঘের সঙ্গে দশ মিনিট লড়াই করে সঙ্গীকে উদ্ধার করে আনেন মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও ঝন্টু মণ্ডল। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৌর। গোসাবা ব্লকের ছোটমোল্লাখালি পঞ্চায়েতের কালিদাসপুর এলাকার বাসিন্দা তিন মৎস্যজীবী গত বুধবার কাঁকড়া ধরার জন্য রওনা দেন। শনিবার সকালে তাঁরা চামটার জঙ্গল লাগোয়া খালে কাঁকড়া ধরার কাজ করছিলেন। নৌকোর পিছনে ছিলেন গৌর। একটি বাঘ তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জলে পড়ে যায়। ঝন্টুরা দেখেন, গৌরের মাথা ও চোয়ালে থাবা বসিয়েছে বাঘ। তাঁরা খালের জলে ঝাঁপ মেরে নৌকোর বৈঠা-বাঁশ নিয়ে বাঘের উপরে চড়াও হন। কিছুক্ষণের মধ্যে ‘শিকার’ ছেড়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে দক্ষিণরায়। রক্তাক্ত গৌরকে উদ্ধার করে ছোটমোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝন্টু, মনোরঞ্জনেরা বলেন, ‘‘জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বাঘকে পিটিয়ে সঙ্গীকে উদ্ধার করে আনতে পেরেছি।” সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, ‘‘ ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই মৎস্যজীবীদের মাছ, কাঁকড়া ধরার অনুমতি ছিল কিনা, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন