(বাঁ দিকে) সোমনাথ মুখোপাধ্যায় এবং সুনীল সর্দার (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
রাতেই ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন টাকি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। কেন তিনি দল ছাড়তে চাইছেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। মঙ্গলবার তার কারণ স্পষ্ট করলেন তিনি নিজেই। কাউন্সিলর সুনীল সর্দার জানান, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। চেয়ারম্যানের ব্যর্থতার দায় বর্তাচ্ছে তাঁদের মতো কাউন্সিলরদের উপর। সুনীলের দাবি, ‘‘দলে থেকে যদি দলের উপকারে না লাগি, তবে থেকে লাভ কী?’’
সোমবার রাতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সুনীল। সেই পোস্টে তিনি জানান, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলে আছেন। অনেক বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কিন্তু টাকি, হাসনাবাদের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। কেন রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন, তার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুনীল বলেন, ‘‘আমি দলে থেকে যদি দলের শ্রীবৃদ্ধিতে কোনও কাজ করতে না পারি তবে দল কেন করব?’’
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন টাকি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে এখন পুরসভা চলছে, তা দেখে আমার অসুস্থ মনে হচ্ছে। চেয়ারম্যানের জন্য পুরসভা ত্যাগ করছি। টাকি পুরসভা নিয়ে দলের নেতৃত্ব ভাবুন।’’ সুনীলের অভিযোগ, চেয়ারম্যান নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। পুরসভার কোনও উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করেন না। তার জন্য আমরাও এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। বহুবার জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি তাই দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি।’’ দল ছাড়লেও এখনই কাউন্সিলর পদ ছাড়ছেন না সুনীল। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ যে হেতু আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তাই আমি কাউন্সিলরের পদ ছাড়ব না।’’
যদিও এই বিষয়ে টাকি পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর আত্মীয় মারা গিয়েছেন। তাই এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারছেন না। সুনীলের দল ছাড়া এবং তাঁর অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছেন বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘টাকি পুরসভার পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। বহু দিন ধরেই সাধারণ মানুষ কোনও রকম পরিষেবা পাচ্ছেন না।’’