ভোররাতে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন ওই তরুণী। প্রতীকী ছবি।
প্রেমিক আর পোষ্য কুকুরের সঙ্গে অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন এক তরুণী। ঘুমের মধ্যে পাশ ফিরতে গিয়ে দেখলেন কিছু একটা যেন নড়ছে। ঘুমের ঘোরে তখন ওই তরুণী ভাবলেন, হয়তো তাঁর ঘুমের বারোটা বাজাচ্ছে পোষ্য কুকুর। মনে মনে তাকে তিরস্কারও করতে লাগলেন তখন। কিন্তু কিছু ক্ষণ বাদেই তাঁর ভুল ভাঙল।
কুকুরের গায়ে তো লোম ছিল। কিন্তু হাত দিয়ে চারপাশ নাড়াচাড়া করতে গিয়ে তরুণী বুঝলেন যে, কোনও লোম নেই। তা হলে এটা কী? এর পরই ফোনের টর্চ জ্বেলে লেপের তলায় দেখতেই রীতিমতো আঁতকে উঠলেন ওই তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে বিছানা থেকে লাফ মেরে নীচে নেমে ভোররাতে চিৎকার জুড়ে দিলেন তিনি।
দেখলেন, বিছানায় লেপের তলায় আশ্রয় নিয়েছে একটা কমলা রঙের সাপ। ভয়ে ঘাবড়ে গিয়ে ‘সাপ, সাপ’ বলে বাড়ি মাথায় করলেন ওই তরুণী। তাঁর চিৎকারে তখন পরিবারের বাকি সদস্যেরও ঘুম ভেঙে যায়। তাঁরাও ছুটে আসেন। তত ক্ষণে ঘুম ভেঙেছে তরুণীর প্রেমিক ও পোষ্যেরও।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত ২২ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের ওয়েলিংবরো শহরে। যাঁর সঙ্গে এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটেছে, তিনি ২৩ বছর বয়সি তাসা লেন। ওই তরুণী জানিয়েছেন, সাপটি এক পড়শির। কয়েক মাস ধরে ওই সাপটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সাপটি তাসার এক পড়শির পোষ্য। পরে তরুণীর প্রেমিকার মা সেই পড়শিকে ডাকেন। তিনি শেষমেশ ওই সাপটি উদ্ধার করেন। জেড ফোরস্টার নামে ওই পড়শি জানান যে, প্রায় তিন মাস ধরে ওই সাপটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তন্নতন্ন করে সারা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাপটির হদিস পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে তিনি ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন। শেষমেশ সাপটিকে খুঁজে পেয়ে যারপরনাই খুশি হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সাপটি ওই পড়শির ছোট ছেলের ছিল।