—প্রতীকী ছবি।
মেয়ের অনুপস্থিতিতে শাশুড়িকে শয্যাসঙ্গী করেছেন জামাই। আচমকা ঘরে ঢুকে দেখে ফেলল মেয়ে। রেগে গিয়ে স্বামীকে ছেড়ে দিলেন তিনি। সম্পর্ক ত্যাগ করলেন মায়ের সঙ্গেও। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’-এর একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ্যে এসেছে এ রকমই এক ঘটনা। নিজের মা এবং স্বামীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখার পর তাঁর অভিজ্ঞতা কেমন হয়েছিল সমাজমাধ্যমে তা-ও নাকি পোস্ট করেছেন ওই মহিলা। সমাজমাধ্যম রেডিটে পোস্ট করে ওই মহিলা তাঁর অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়েছেন। সেই পোস্টকে কেন্দ্র করে হইচইও পড়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে।
‘দ্য মিরর’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মহিলা জানিয়েছেন যে কী ভাবে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছিল। ২২ বছর পর তিনি তাঁর স্বামী এবং মায়ের সম্পর্কের সত্যি আবিষ্কার করেন। প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ৪০ বছর বয়সি ওই মহিলা জানিয়েছেন, মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন। জানাজানি হওয়ার পরে তাঁর পরিবার সম্পর্কের কথা নেমে নেয়। প্রেমিকও তাঁর পরিবারের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। এর পর তাঁর যখন ১৮ বছর বয়স, তখন বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে দাদু-দিদার পুরনো বাড়িতে চলে যান। চার সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সব মিলিয়ে সুখেই কাটছিল তাঁর দিন। তবে সেই সংসারে অশান্তির সূত্রপাত হয় সম্প্রতি।
রেডিট ব্যবহারকারী মহিলা জানিয়েছেন, বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্বামী-সন্তানদের চমকে দিতে কাউকে না জানিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু ফিরে চমকে যান নিজেই। শোবার ঘরে মা এবং স্বামীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। পা থেকে মাটি সরে যায় তাঁর। মহিলা জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর লজ্জা পাওয়ার পরিবর্তে রেগে ঘর থেকে বেরিয়ে যান তাঁর মা। অন্য দিকে, তাঁর স্বামী স্বীকার করেন যে, গত ১৮ বছর থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে।
তবে এই ঘটনার পর চুপ করে ছিলেন না ওই মহিলা। এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে বাবা-সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের সামনে স্বামী এবং মায়ের সম্পর্কের সত্যতা প্রকাশ করেন তিনি। এর পরেই স্বামী এবং মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে জীবন নষ্ট করার অভিযোগও তুলেছেন মহিলা।