Real-Life Treasure Hunt

আঁস্তাকুড়ে ময়লা ঘেঁটে মাসে ৪ লক্ষ আয়! আমেরিকার দম্পতির অবাক করা কাণ্ড

শুধু একটি আঁস্তাকুড়েই নয়, ভেরোনিকাদের নজর দেশের সব বড় বড় আঁস্তাকুড়ের দিকে। এ জন্য তাঁরা গাড়ি নিয়ে ছুটে বেড়ান এক শহর থেকে অন্য শহরে। জিনিস সংগ্রহের পর বসে নিলামের আসর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
পেনসিলভেনিয়া শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ১৫:০৫
file image

আঁস্তাকুড় থেকে মহার্ঘ জিনিস কুড়িয়ে নেন ভেরোনিকা। ছবি: সংগৃহীত।

বাড়ির বহু অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আঁস্তাকু়ড়ে ফেলে দিতেই অভ্যস্ত আমরা। তা করতে গিয়ে কখনও কখনও দামি জিনিসও ফেলে দেওয়া হয়। আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার বাসিন্দা ভেরোনিকা টেলর সেই আঁস্তাকুড় ঘেঁটেই লাখপতি হয়ে গিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, পেনসিলভেনিয়ার কোয়াকারটাউনের ভেরোনিকার পুরনো জিনিসপত্রের শখ। ছোট থেকেই আঁস্তাকুড় খোঁজা বেজায় পছন্দের। বয়স একটু বাড়তে এই কাজকেই নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেন ভেরোনিকা। একই রকম ভাবনায় লিজ় উইলসনকেও পাশে পান। শুরু হয় নতুন পথ চলা।

Advertisement

শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আঁস্তাকুড় ঘেঁটে ভেরোনিকা এবং লিজ় বার করে আনেন এমন অনেক জিনিস যা, স্রেফ মনের ভুলেই ঠাঁই পেয়েছে আঁস্তাকুড়ে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছেন, লুই ভিটো, মাইকেল কর্সের তৈরি দামি জিনিসও কুড়িয়ে পেয়েছেন ভেরোনিকা, লিজ়রা। তার পর সেই জিনিস তোলা হয় নিলামে। শুধুই কি দামি জিনিস, ভেরোনিকারা হামেশাই খুঁজে পান এমন কিছু জিনিসপত্রও যেগুলি দৈনন্দিন প্রয়োজনে কাজে লাগে খুবই। সবই নিলামে তোলা হয়। জলের দরে সেই সব দ্রব্য সংগ্রহ করেন ক্রেতারা। তাতে নিজের লাভের অংশ তো থাকেই, ক্রেতাদের মুখেও হাসি চওড়া হয়।

ভেরোনিকাকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই করেই মাসে ৫ হাজার ডলার উপার্জন করেন তাঁরা। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪ লক্ষ টাকারও বেশি। তবে শুধু একটি আঁস্তাকুড়েই নয়, ভেরোনিকাদের নজর দেশের সব বড় বড় আঁস্তাকুড়ের দিকে। এ জন্য তাঁরা গাড়ি নিয়ে ছুটে বেড়ান এক শহর থেকে অন্য শহরে।

জানা গিয়েছে, ভেরোনিকাদের নিলামে অন্তত ১০০টি জিনিস থাকে। যা এক বার দেখলে চোখ ফেরানো মুশকিল। যদিও সেগুলি সব ক’টিই পাওয়া আঁস্তাকুড় ঘেঁটে।

আরও পড়ুন
Advertisement