—প্রতীকী ছবি।
শরীর সতেজ রাখার জন্য ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ড্রিল করাচ্ছিলেন শিক্ষক। সকল পড়ুয়াকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে। কিন্তু শিক্ষকের নির্দেশ শুনেও তাঁর অবাধ্য হয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র। না বসে সে মেঝের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে। বার বার সতর্ক করার পরেও কথা শোনেনি সেই পড়ুয়া। ছাত্র অবাধ্য হয়েছে দেখে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য পিঠে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন সেই শিক্ষক। শিক্ষকের ওজনের চাপ পড়ায় পিঠের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চেঁচিয়ে ওঠে ছাত্রটি। পরে সে সোজা হয়ে হাঁটতে পারছিল না। পিঠের যন্ত্রণা ক্রমাগত বেড়ে চলেছিল তার। দেরি না করে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকার মিনেসোটা এলাকার আন্ডারউড স্কুলে ঘটেছে। শিক্ষকের জেসন রজার্স। ৪৮ বছর বয়সি জেসনের ওজন ১৫৮ কেজি। স্কুলে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিজ্ঞান পড়ান তিনি। শিক্ষকতার পাশাপাশি ফুটবল এবং কুস্তিও শেখান জেসন। ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ড্রিল করাচ্ছিলেন জেসন। তিনি হাঁটু গেড়ে সকলকে বসে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক জন পড়ুয়া তাঁর নির্দেশ অমান্য করছিল।
জেসনের দাবি, তিনি পড়ুয়াদের বার বার বলছিলেন যে, কথা না শুনলে তাদের পিঠের উপর তিনি দাঁড়িয়ে পড়বেন। ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র মেঝের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েছিল। তা চোখে পড়ে জেসনের। অভিযোগ, ওই ছাত্রের পিঠের উপর দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন জেসন। শাস্তি দিতে টানা ১০ সেকেন্ড ছাত্রের পিঠের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরে পিঠের যন্ত্রণা হওয়ার কারণে ছাত্রটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যত দিন জেসনের তদন্ত চলবে তত দিন তাঁর স্কুলে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ৮ এপ্রিল জেসনকে আদালতে পেশ করা হবে।