—প্রতীকী ছবি।
মাত্র পাঁচ ঘণ্টার জন্য কোটিপতি হল এক স্কুলপড়ুয়া। এটিএম থেকে ৫০০ টাকা তোলার ওই ছাত্র তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে তা দেখতে যায়। সেই দেখে চোখ কপালে উঠে যায় নবম শ্রেণির ছাত্র সইফ আলির। দেখা যায় সইফের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ৮৭.৬৫ কোটি টাকা। বিহারের মুজাফ্ফরপুরের সাকরা ব্লকের চন্দনপট্টির বাসিন্দা এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যায়। ছুটতে ছুটতে বাড়ি গিয়ে পরিবারের সকলকে জানায় ঘটনা। কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ওই পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল, তা নিয়ে ধন্দে পড়ে যান পরিবারে সদস্যেরা।
চন্দনপট্টির ওই কিশোর একটি ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিল সাইবার ক্যাফেতে। তার পর সে ৫০০ টাকা তোলে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৮৭.৬৫ কোটি টাকা জমা রয়েছে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেনি। সাইবার ক্যাফের মালিকের সঙ্গে পরামর্শ করে সে আরও এক বার ব্যাঙ্ক কত টাকা জমা রয়েছে তা দেখে। সেই সময়ও সইফের অ্যাকাউন্টে জমা টাকার পরিমাণ অপরিবর্তিতই ছিল। ঘাবড়ে গিয়ে সে দ্রুত বাড়ি চলে আসে। বাড়ির সদস্যদের পরামর্শে ব্যাঙ্কের গ্রাহক সহায়তা কেন্দ্রে খোঁজ খবর করতেই সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। দেখা যায় যে টাকা আচমকা ওই ছাত্রে অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল তা হঠাৎ করেই আবার গায়েব হয়ে গিয়েছে। উল্টে দেখা যায় মাত্র ৫৩২ টাকা জমা রয়েছে সইফের অ্যাকাউন্টে। মাত্র পাঁচ ঘণ্টার জন্যই কোটি টাকার মালিক হয়েছিল সইফ।
সইফ এবং তার পরিবার এই সমস্যাটি জানাতে ব্যাঙ্কে যায়। ব্যাঙ্ক জানায় সইফের অ্যাকাউন্টে যে সমস্যাটি হয়েছিল তার সমাধান করা হয়েছে। উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাঙ্ক তদন্ত শুরু করেছে। কী ভাবে, কেন এই ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়ে এখনও ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। সাইবার অপরাধ দমন দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হয়তো কোনও সাইবার অপরাধী ছাত্রের অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে লেনদেন করেছিল। যার ফলে টাকা জমা পড়েও তা গায়েব হয়ে যায়। সইফের পরিবারের তরফে এই নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।