Uttar Pradesh

গোখরোর ছোবলে নয়, শ্বাসরোধ করে খুন মেরঠের তরুণকে, পরে রাখা হয় সাপ! নেপথ্যে সেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক

তদন্তের সময় অমিতকে খুনের পরিকল্পনা করার কথা স্বীকার করেছেন রবিতা এবং অমরদীপ। দেহাত পুলিশ সুপার রাকেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, অমিতের বন্ধু অমরদীপের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রবিতার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৫৯
Meerut man killed by wife over extramarital affair, later kept snake under body, police arrested two

ছবি: সংগৃহীত।

সাপের ছোবলে নয়, উত্তরপ্রদেশের মেরঠের তরুণ অমিত কাশ্যপ (২৫)-এর মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ করে খুন করার কারণে! তেমনটাই উঠে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। অমিতকে খুনের পর নজর অন্য দিকে ঘোরাতে তাঁর দেহের পাশে বিষধর সাপটি রেখে দেওয়া হয়েছিল। আর অমিতকে হত্যার এই পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী রবিতা এবং রবিতার প্রেমিক অমরদীপ। তদন্তের সময় অমিতকে খুনের পরিকল্পনা করার কথা স্বীকার করেছেন রবিতা এবং অমরদীপ। দেহাত পুলিশ সুপার রাকেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, অমিতের বন্ধু অমরদীপের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রবিতার। আর তাঁদের একসঙ্গে থাকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অমিত। আর তাই অমিতকে হত্যার ছক কষেন তাঁরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, রবিবার উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাহসুমা থানা এলাকার আকবরপুর সাদাত গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পেশায় শ্রমিক এবং তিন সন্তানের বাবা অমিত শনিবার রাত ১০টা নাগাদ কাজ থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। খাবার খেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এর পর সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অমিতের দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার করা হয় একটি বিষধর সাপ। তাঁর হাতে সাপটি জড়ানো ছিল। শরীরে একাধিক জায়গায় দংশনের চিহ্ন ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সেই সংখ্যা ১০। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল গোখরোর কামড়েই মৃত্যু হয়েছে অমিতের। পুলিশ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই প্রকাশ্যে এল এক অন্য সত্য।

ময়নাতদন্তের সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্পদংশনে নয়, অমিতের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ করার কারণে। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁর স্ত্রী রবিতাকে। তদন্তের সময় পুলিশ এ-ও জানতে পারে যে বন্ধু অমরদীপের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন অমিত। এই নিয়ে নিত্য দিন তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। এর পরেই প্রেমিকের সঙ্গে স্বামীকে হত্যার ছক কষেন রবিতা।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীকে খুনের পর যাতে ধরা না পড়েন তার জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন রবিতা। ১০০০ টাকা দিয়ে একটি সাপ কিনে এনেছিলেন তিনি। এর পর শনিবার রাতে অমিতকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সাপটিকে তাঁর শরীরের নীচে রেখে দেন। প্রাথমিক ভাবে দশ বার সাপের কামড়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও ময়নাতদন্তের ফলাফল সন্দেহ জাগিয়ে তোলে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় রবিতা এবং অমরদীপ উভয়েই অমিত খুনের সঙ্গে তাঁদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। সৌরভকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী এবং মুস্কানের প্রেমিক সাহিল। এর মধ্যেই অমিতের মৃত্যুতে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে।

Advertisement
আরও পড়ুন