Relationship

স্ত্রীর ট্যাব দেখে আঁতকে উঠলেন স্বামী, গোপন ফাইলে কার ছবি লুকিয়ে রেখেছিলেন তরুণী?

ট্যাব খোলার পর ঘাঁটাঘাঁটি করতেই তাঁর চোখের সামনে ভেসে ওঠে ‘এক্সএক্স’ নামের একটি গোপন ফোল্ডার। ফোল্ডার খুলতেই ভয়ে শিউরে উঠলেন। তাঁর স্ত্রী যে আড়ালে এত কিছু ঘটিয়ে ফেলেছেন, তা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তরুণ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩৬

—প্রতীকী ছবি।

স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। কন্যাসন্তানকে নিয়ে একাই বাড়িতে ছিলেন তরুণ। ল্যাপটপে অফিসের কাজ সারছিলেন তিনি। কিন্তু কাজের মাঝেই ল্যাপটপ খারাপ হয়ে যায় তাঁর। তাড়াহুড়ো থাকার কারণে স্ত্রীর ট্যাব নিয়েই কাজ করতে শুরু করেন তরুণ। কিন্তু ট্যাব খোলার পর ঘাঁটাঘাঁটি করতেই তাঁর চোখের সামনে ভেসে ওঠে ‘এক্সএক্স’ নামের একটি গোপন ফোল্ডার। ফোল্ডারের নাম দেখে খানিকটা চমকে গিয়েছিলেন তরুণ। তিনি ভেবেছিলেন, দুষ্টু ছবি অথবা ভিডিয়ো সেই ফোল্ডারে সংগ্রহ করে রেখেছেন তাঁর স্ত্রী। ফোল্ডার খুলতেই ভয়ে শিউরে উঠলেন। তাঁর স্ত্রী যে আড়ালে এত কিছু ঘটিয়ে ফেলেছেন, তা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তরুণ। কিছু বুঝতে না পেরে অবশেষে সমাজমাধ্যমে নাম লুকিয়ে রেখে নিজের সমস্যার কথা জানান তিনি।

Advertisement

৩৬ বছরের তরুণ জানান, তাঁর স্ত্রীর নাম বেইলি। ন’বছর আগে বন্ধুদের সূত্রে বেইলির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। বন্ধুত্বে ধীরে ধীরে ভালবাসার রং ধরে। ২০২১ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। সদ্য এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন বেলি। স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল তরুণের। অন্তত এত দিন তাই ভাবতেন তিনি। কিন্তু স্ত্রীর ট্যাবে রাখা গোপন ফোল্ডারে ঢুকেই সব ধারণা পাল্টে গেল তাঁর। তরুণ জানান, বেইলির সঙ্গে আলাপ হওয়ার আগে অন্য এক জনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু সেই সম্পর্কে রোজ অশান্তি লেগে থাকত বলে দাবি করেন তরুণ।

দীর্ঘকাল সেই তরুণীর সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কে থাকার পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিচ্ছেদের পর প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। তার পর বেইলির সঙ্গে তাঁর আলাপ, প্রেম থেকে বিয়ে। এক দশকে জীবন বদলে গিয়েছিল তাঁর। তরুণ বলেন, ‘‘বেইলি আমার জীবনের সব কিছু ছিল। ওর জন্য আমি পাগল ছিলাম। কিন্তু ও যে এমন করবে, তা স্বপ্নেও ভাবিনি।’’

তরুণ জানান, কাজ সারার জন্য বেইলির ট্যাব খুলেছিলেন তিনি। হঠাৎ ‘এক্সএক্স’ নামে একটি গোপন ফোল্ডার তাঁর নজরে পড়ে। ফোল্ডার খুলেই তিনি দেখতে পান, ফোল্ডার জুড়ে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকার ছবি। তাঁর কলেজ জীবনের ছবি থেকে শুরু করে কর্মজীবনের ছবি, এমনকি অফিসের পরিচয়পত্রেরও ছবি রয়েছে সেই ফোল্ডারে। দু’সপ্তাহ আগেও তরুণের প্রাক্তন প্রেমিকার ছবি সেই ফোল্ডারে সেভ করে রেখেছেন বেইলি। তরুণের দাবি, বেশির ভাগ ছবিতেই তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা একা রয়েছেন। অনেকের সঙ্গে কোনও ছবি তুললেও সেখান থেকে প্রাক্তন প্রেমিকার মুখ ক্রপ করে কেটে সেই ফোল্ডারে জমিয়ে রেখেছেন বেইলি।

তরুণ বলেন, ‘‘আমার প্রাক্তন প্রেমিকাকে বেইলির পরিচিত। কিন্তু দু’জনের বন্ধুত্ব ছিল না কোনও দিন। বেইলির ফোল্ডার ঘাঁটার পর আমি বুঝতে পারি যে, ও শুধু ছবি জমিয়েই রাখেনি। সাজপোশাকেও আমার প্রাক্তন প্রেমিকাকে অনুকরণ করতে শুরু করেছে ও। আমার প্রাক্তন যেমন ভাবে চুল কাটাত, বেইলিও ওর চুলের ছাঁট সে ভাবেই বদলে ফেলেছে। এমনকি ছবিগুলিতে আমার প্রাক্তন প্রেমিকাকে ঠিক যে ধরনের জামাকাপড়ে দেখা যাচ্ছে, বেইলিও একই ধরনের পোশাক পরতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ঠিক কী করা উচিত বুঝতে পারছি না। আমি কি আমার মেয়েকে নিয়ে অন্য কোথাও চলে যাব? না কি বেইলির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলা বুদ্ধিমানের কাজ হবে? আমার বুক ফেটে কান্না পাচ্ছে। দয়া করে কোনও পথ দেখান।’’

তরুণীর অবস্থা দেখে নেটব্যবহারকারীদের অধিকাংশই তাঁকে সাবধান থাকার উপদেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে বেইলির সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করারও পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।

আরও পড়ুন
Advertisement