—প্রতীকী ছবি।
সম্পর্কের বিচ্ছেদ আনে কষ্ট। কখনও কখনও দাম্পত্যে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যার ফলে দু’জন ব্যক্তির একসঙ্গে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটতে বাধ্য হন স্বামী-স্ত্রী। আদালতের একটি কলমের খোঁচায় আলাদা হয়ে যান দম্পতি। এমনই একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক দম্পতি। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল, প্রায় সব কিছুই নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার সময় বিচারক এমন একটি রায়ের ঘোষণা করেন যা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছেন স্বামী। তাঁকে জানানো হয়েছিল, মেয়ের লালন-পালনের জন্য মাসে মাসে খরচ এবং এককালীন ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, হু নামে এক ব্যক্তি ২০১১ সালে বিয়ে করেন এবং একই বছর এই দম্পতির একটি কন্যাসন্তান হয়।তার পর মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে মতবিরোধের কারণে ২০২২ সালে হু বাড়ি ছেড়ে চলে যান এবং এই দম্পতি পৃথক ভাবে বসবাস শুরু করেন। ২০২৪ সালে হু বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। তাঁর স্ত্রী মেয়ের হেফাজত এবং তাঁদের যৌথ সম্পত্তির অংশ দাবি করেন। এ ছাড়াও, তিনি বছরের পর বছর ধরে গৃহস্থালির কাজের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০,০০০ ইউয়ান বা ৬ লক্ষ টাকা দাবি করেন। হু-এর স্ত্রী আদালতকে জানিয়েছেন যে তিনি সংসার পরিচালনা এবং তাঁদের মেয়ের যত্ন নেওয়ার জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
মার্চ মাসে একটি আদালত রায়ে জানায়, হুর স্ত্রী গৃহস্থালির কাজের জন্য যে ৬ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন তার পাঁচ গুণ, অর্থাৎ অতিরিক্ত ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে হু-কে। বিচারক জানিয়েদেন যে সংসারের দৈনন্দিন কাজ স্বামী-স্ত্রী উভয়ের দায়িত্ব। হু যদি এই ভূমিকা পালন না করেন তা হলে তাঁকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।