ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন তরুণী। মেট্রোয় দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। ফোনে কথা বলার সময় তরুণীর মা বুঝতে পারেন যে, বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তাঁর কন্যা। মেয়েকে সেই প্রশ্ন করতেই জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র শিনচ্যানের গলা নকল করে মাকে শুনিয়ে দিলেন তরুণী।
বাড়িতে বসে তিনি যে টিভি দেখছেন তারই প্রমাণ দিলেন তরুণী। তার পর মায়ের উপরেই অভিমান করে তিনি বললেন, ‘‘তুমি তো আমার কথা কখনওই বিশ্বাস করতে চাও না।’’ তরুণীর কাণ্ডকারখানা দেখে মেট্রোর অন্য যাত্রীরা হাসিতে ফেটে পড়লেন। সমাজমাধ্যমে এমনই এক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামের পাতায় পোস্ট করেছেন তরুণী নিজেই। তরুণীর নাম বর্ষা গুপ্ত। দিল্লির বাসিন্দা বর্ষা পেশায় নেটপ্রভাবী। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে এক লক্ষের বেশি অনুগামী জুটে গিয়েছে তাঁর। সমাজমাধ্যমে শিল্পী বলে নিজের পরিচয় দেন তিনি। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে যে, দিল্লির মেট্রোয় দাঁড়িয়ে রয়েছেন বর্ষা। ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে বর্ষাকে। কথোপকথন শুনে বোঝা যায় যে, বর্ষা তাঁর মায়ের সঙ্গেই ফোনে কথা বলছেন এবং ফোনের ও পার থেকে তাঁর মা প্রশ্ন করছেন যে, বর্ষা বাইরে বেরিয়েছেন কি না।
মায়ের প্রশ্ন শুনে বর্ষা বলেন, ‘‘মা, আমি তো বাড়িতেই আছি। তোমার কি আমার উপর ভরসা নেই একটুও? আমি কার্টুন দেখছি, মা। আচ্ছা! তোমায় এ বার কার্টুনের আওয়াজও শোনাতে হবে!’’ এই কথা বলেই হঠাৎ শিনচ্যানের গলা নকল করে কথা বলতে শুরু করেন বর্ষা। কিছু সংলাপ বানিয়ে অবিকল শিনচ্যানের কণ্ঠস্বর নকল করে বর্ষা বলেন, ‘‘মা, তুমি আমায় ডোনাট দাও না। ডোনাট খেতে আমার খুব ভাল লাগে। তুমি আমায় একটু ডোনাট খেতে দাও। আমার খুব খিদে পেয়েছে, মা।’’ শিনচ্যানের স্বরে এই কথাগুলি বলে বর্ষা তাঁর মাকে প্রমাণ দেন যে, তিনি টিভিতে শিনচ্যানের কার্টুনই দেখছেন। তার পর বর্ষা নিজের স্বরে তাঁর মাকে অভিমান করে বলেন, ‘‘শুনতে পেয়েছ তো? আমি ঘরেই আছি। তুমি আসলে আমার কোনও কথা বিশ্বাসই করো না।’’
ভিডিয়োটি দেখে এক নেটব্যবহারকারী বলেন, ‘‘আপনি তো দারুণ বোকা বানালেন!’’ আবার এক নেটাগরিকের কথায়, ‘‘আপনার কিন্তু অসামান্য দক্ষতা রয়েছে।’’