China

ভালবাসা দূরত্ব মানে না, স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রোজ ৩২০ কিমি পথ যাতায়াত করেন তরুণ

প্রতি দিন ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে ২০ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বাইকে চেপে রেলস্টেশনে যান লিন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ১৮:০৭

—প্রতীকী ছবি।

সদ্য বিয়ে করেছেন তরুণ। স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব যেন আর সইছে না তাঁর। সঙ্গিনীর সঙ্গে বেশি ক্ষণ সময় কাটানোর জন্য রোজ ৩২০ কিলোমিটার পথ যাতায়াত করছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের যাত্রার কথা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন ৩১ বছরের তরুণ লিন শু। পূর্ব চিনের শ্যানডং প্রদেশের ওয়েইফাং এলাকায় থাকেন তিনি। তিনি যে অফিসে কাজ করেন সেখানে যেতে তাঁর সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা। তবে স্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন বলে এত ক্ষণ যাতায়াত করতেও রাজি তিনি।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে প্রাত্যহিক জীবন সম্পর্কে জানিয়েছেন লিন। প্রতি দিন ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে ২০ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বাইকে চেপে রেলস্টেশনে যান লিন। বাড়ি থেকে স্টেশন যেতে আধ ঘণ্টা সময় লাগে তাঁর। ৬টা ১৫ মিনিটে যে ট্রেনটি আসে, তাতে চড়ে বসেন তিনি। লিনের অফিস কিংদাও এলাকায়। কিংদাও স্টেশনে ট্রেনটি পৌনে ৮টা নাগাদ পৌঁছয়। ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো ধরে তাঁর অফিস যেতে ১৫ মিনিট সময় লাগে। ৯টা থেকে অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম শুরু হয় লিনের। কাজ শুরুর আগে অফিসের ক্যান্টিন থেকে সকালের জলখাবার খেয়ে নেন তিনি।

আবার ফিরতি পথে ১৬০ কিমি পেরিয়ে বাড়ি পৌঁছন লিন। সমাজমাধ্যমে লিখে লিন জানিয়েছেন, বিয়ের আগে স্ত্রীর সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁর। বিয়ের আগে অফিসের কাছে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর লিনের স্ত্রী ওয়েইফাং এলাকায় থাকতে চান। স্ত্রীর কথা রাখতে তাই সেখানেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকে যান তরুণ।

লিনের কথায়, ‘‘কিংদাও এলাকায় ফ্ল্যাটের দাম খুব বেশি। আমার স্ত্রী ওই এলাকায় কাজ খুঁজছে। ও কাজ পেয়ে গেলেই আমি অফিসের কাছাকাছি চলে আসব। আমার ম্যানেজার এই বিষয়ে জানেন। যাতায়াতের জন্য সময় লাগে বলে তিনি আমায় অফিসে বেশি সময় আটকে রাখেন না।’’

লিনের যাতায়াতের কথা শুনে স্থানীয় এক নেটব্যবহারকারী আবার হিসাব করে জানিয়েছেন, প্রতি মাসে যাতায়াত বাবদ ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ হয় লিনের।

আরও পড়ুন
Advertisement