Viral Video

ন’বছরের ছোট প্রেমিকের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে উড়ে এলেন তরুণী, করলেন বিয়েও

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার ওই তরুণীর জ্যাকলিন ফোরো। বছর দেড়েক আগে পেশায় আলোকচিত্রী জ্যাকলিনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয় অন্ধ্রপ্রদেশ নিবাসী চন্দনের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১২
American woman travels to Andhra Pradesh village to marry boyfriend, their story goes viral

ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

পরিচয় হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। সেখানেই বন্ধুত্ব এবং বন্ধুত্ব গড়িয়ে প্রেম। আট মাস প্রেম করার পর প্রেমিকের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছোলেন তরুণী। ভারতে এসে প্রেমিককে বিয়েও করলেন তিনি। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে। আমেরিকার তরুণী এবং তাঁর প্রেমিকের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যুগলের একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার ওই তরুণীর নাম জ্যাকলিন ফোরো। বছর দেড়েক আগে পেশায় আলোকচিত্রী জ্যাকলিনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয় অন্ধ্রপ্রদেশ নিবাসী চন্দনের। তাঁর থেকে ৯ বছরের ছোট চন্দনের সরলতা এবং আচরণে আকৃষ্ট হন জ্যাকলিন। দু’জনের কথাবার্তা চলতে থাকে নেটমাধ্যমে। ধীরে ধীরে একে অপরের প্রেমেও পড়েন। দীর্ঘ ১৪ মাসের আলাপের পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন যুগল। এর পর মাকে সঙ্গে নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ চলে আসেন জ্যাকলিন। সকলের সম্মতিতে চন্দনকে বিয়েও করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ভারতে আসার পর জ্যাকলিন এবং চন্দন একটি ইউটিউব চ্যানেলও খুলেছেন। চন্দনের আমেরিকা যাত্রার প্রস্তুতিও জোরকদমে চলছে। ইতিমধ্যেই নাকি ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

সম্প্রতি ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন জ্যাকলিন। সেখানে তাঁর এবং চন্দনের প্রেমপর্বের বর্ণনা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, কী ভাবে এবং কেন তিনি ভারতীয় তরুণের প্রেমে পড়লেন। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।

ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। হাজার হাজার লাইক পড়েছে সেই ভিডিয়োয়। জ্যাকলিনের করা পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। যুগলকে শুভেচ্ছাবার্তাও জানিয়েছেন অনেকে। এক নেটাগরিক ভিডিয়ো দেখে লিখেছেন, ‘‘৯ বছর কিছুই নয়। আমার স্বামী এবং আমার মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১০ বছরের বেশি। নিন্দকেরা অনেক কথা বলবে। পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। শুধু ঈশ্বরকে মেনে নেবে। তোমাদের দু’জনের জন্যই খুব খুশি আমি।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘তোমদের দু’জনকেই খুব সুন্দর মানিয়েছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন