—প্রতীকী ছবি।
বিয়ে নিয়ে চিনে আর্থিক প্রতারণার উদাহরণ ভূরি ভূরি। সম্প্রতি এই ধরনের আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে ঋণ শোধ করতে স্বামীকে ফাঁদে ফেলে মোটা টাকার ক্ষতিপূরণ আদায় করেছেন তরুণী। প্রেমিকের মদতে সদ্য বিয়ে করা এক তরুণকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। জ়িওং ও তাঁর প্রেমিক লি এর সেই পরিকল্পনা বুঝতে পারেন বাও নামের ওই তরুণ। পুলিশের হস্তক্ষেপে ধরা পড়ে যান জ়িওং ও লি। তখনই খোলসা হয় গোটা পরিকল্পনা।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে জ়িওং ও লি প্রেমিক-প্রেমিকা। তাঁরা বিয়ে করার পরিকল্পনাও করছিলেন। সেই ইচ্ছায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সঙ্কট। চটজলদি ঋণের জাল থেকে মুক্তি পেতে তাঁরা নিজেরাই একটি ফাঁদে পা দিয়ে দেন। সমাজমাধ্যমে আলাপ হওয়া দুই ব্যক্তি বিবাহ প্রতারণায় যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। জ়িওং প্রথমে এই পরিকল্পনায় রাজি হননি। তাঁকে বলা হয়েছিল বিপুল কন্যাপণ নিয়ে বিয়ে করার পর স্বামীকে যৌনকর্মীর সঙ্গে লিপ্ত হওয়ার ফাঁদে ফেলতে হবে।
চিনের বহু জায়গায় প্রথা অনুযায়ী বিয়ের সময় বরকে বিপুল কন্যাপণ দিতে হয়। বিয়ের পর বর যদি কোনও যৌনকর্মীর সঙ্গে ধরা পড়েন, তা হলে বিচ্ছেদের সময় কন্যাপণ তিনি ফেরত পাবেন না। সে ক্ষেত্রে পুরো টাকাই স্ত্রীর কাছে চলে যাবে। এই প্রথাকেই কাজে লাগানোর কথা ভাবেন জ়িওং ও লি। বাও নামের এক তরুণের সঙ্গে আলাপ করেন জ়িওং। কয়েক দিন পরই তাঁরা দু’জনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের জন্য বাও কন্যাপণ হিসাবে জ়িওংকে ১৩.৭ লাখ টাকা ও অলঙ্কার বাবদ প্রায় ৪.৮ লাখ টাকা দেন। জ়িওং লিকে নিজের তুতো ভাই বলে পরিচয় দিলেও তাঁদের কার্যকলাপে সন্দেহ জাগে বাওয়ের মনে। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যে একটি রেস্তরাঁয় খেতে গিয়ে লি বাওকে যৌনকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে পীড়াপীড়ি করতে থাকেন। তখনই বাওয়ের সন্দেহ জোরদার হয়। বাও এর পর পুলিশে খবর দেন।
ডিসেম্বরের শুরুতে আদালতে মামলার শুনানি হয়। সেখানে জ়িওং ও লি-সহ বাকি দু’জনকে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁদের সাজা তিন বছরের বেশি। এ ছাড়া বাওকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।