—প্রতীকী ছবি।
সম্পর্ক বাঁচাতে প্রেমিককে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন প্রেমিকা। দু’জনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেও সেই টাকা ফেরত দিতে হবে না স্বামীকে। এমনটাই আশ্চর্য রায় দিল আদালত। লি নামের এক যুবকের পক্ষে সাংহাইয়ের একটি আদালত রায় দিয়ে জানায় তিনি প্রাক্তন বান্ধবীর দেওয়া টাকা ফেরত দিতে বাধ্য নন। লি এর প্রাক্তন প্রেমিকা জু নামের সেই তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লি-এর সঙ্গে একাধিক বার প্রতারণা করেন। খোদ লি-এর ভাইপোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জু, এমনটাই অভিযোগ আনেন লি। জু জানিয়েছেন, তিনি নিজেদের সম্পর্ককে পুনরুদ্ধার করতে বিয়ের শর্ত হিসাবে জুকে এই টাকা উপহার দিয়েছিলেন।
২০১৮ সাল থেকে সম্পর্কে আবদ্ধ হন জু ও লি। দু’বছর পর লি জানতে পারেন তাঁরই ভাইপোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে প্রতারণা করছেন জু। সেই থেকে দু’জনের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। প্রেমিকার বিশ্বাসঘাতকতার কথা জানতে পেরে লি এই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন। সেই সময় জু নিজের প্রতারণার কথা স্বীকার করে চিঠি লিখে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। সম্পর্ক টিকিয়ে রেখে তাকে বিয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য দু’দিনের মধ্যে লি-এর ব্যাঙ্কে একাধিক বার টাকা জমা করেন জু।
২০২২ সাল পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক চললেও আবার লি আবিষ্কার করেন প্রেমিকা তখনও তাঁরই ভাইপোর সঙ্গে প্রেম করছেন। রাগে হতাশায় লি জু-এর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করেন। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর জু নিজের টাকা ফেরত চান। যা দিতে অস্বীকার করেন লি। জু এর দাবি, তিনি বিয়ের উপহার দিচ্ছেন এই ভেবে টাকা দিয়েছিলেন। এই বছরের গোড়ায় সেই বিবাদ গড়ায় আদালতে। পাল্টা জবাবে লি আদালতে জানান, এই টাকা তাঁর মানসিক অশান্তি ও প্রতারণার ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য করা হোক। আদালত লি এর পক্ষে রায় দিয়ে জানায়, এই টাকা বিয়ের শর্তসাপেক্ষ উপহার ছিল না। বরং জু স্বেচ্ছায় এই টাকা লিকে দিয়েছিলেন। প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে লি বাধ্য নন বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।