ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
কোনও কিছু অজানা বিষয় জানার জন্য চট করে আমরা গুগ্ল বা ইউটিউবের শরণাপন্ন হই। তবে ইসিজি বা গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার জন্য গুগ্ল বা ইউটিউব ব্যবহার করা যায় কি? সেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন রাজস্থানের একটি পরীক্ষাগারের সহযোগী। মোবাইলে ইউটিউব দেখে এক রোগীর ইসিজি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। জয়পুরের একটি হাসপাতালের এমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছ়ড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে। ইউটিউবে একটি প্রশিক্ষণমূলক ভিডিয়ো দেখার পরে ওই ব্যক্তি একজন রোগীর ইসিজি করেছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। যা দেখার পর সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ‘জিন্দা অবধেশ’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে সেই বিতর্কিত ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তি রোগীকে ইসিজি করানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। তাঁর হাতে মোবাইল এবং তাতে চলছে কী ভাবে ইসিজি করা হয় তার একটি প্রশিক্ষণমূলক ইউটিউব ভিডিয়ো। উপস্থিত রোগীর পরিবারের এক সদস্য এতে আপত্তি জানানোর পরেও ওই ব্যক্তি হাল ছাড়েননি। রোগীর পরিবারের এক জন সদস্য তাঁকে সতর্ক করে বলেন, সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে তা রোগীর জীবন বিপন্ন করে তুলতে পারে। সেই কথায় কর্ণপাত করতে চাননি হাসপাতালের ওই কর্মী। উল্টে তিনি সাফাই দেন, তাঁর কাছে আর কোনও বিকল্প নেই। কারণ বহু কর্মীই উৎসবের জন্য ছুটি নিয়েছেন। তাঁকে ভিডিয়োতে আশ্বাস দিতে শোনা গিয়েছে, কোনও সমস্যা হবে না সব ঠিক আছে, যন্ত্র ঠিক কাজ করবে। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। এক জন লিখেছেন, ‘‘হতে পারে তিনি ইসিজি টেকনিশিয়ান নন। কখনও কখনও কর্মীদের অনুপস্থিতির কারণে কেউ অন্যকে দায়িত্ব পালন করতেই হয়।’’ একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ইসিজি করার জন্য বিশেষত্ব লাগে না, রক্তে শর্করার পরিমাপের মতোই ইসিজি করতে পারেন।”