—প্রতীকী ছবি।
মায়াবী আলো-আঁধার, রকমারি সুর ও সুরার মাদকতা। নাইট ক্লাবের উদ্দাম জীবন ছেড়ে সরকারি গতে বাঁধা চাকরিতে মন ছিল না। একদিনের জন্য হাজিরা দেননি দফতরে। অথচ ১০ বছর ধরে বেতন ও বোনাসের টাকা পেয়ে চলেছেন তাইল্যান্ডের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। সংবাদমাধ্যম সূত্র বলছে, অজ্ঞাতপরিচয় এই ব্যক্তি মধ্য তাইল্যান্ডের আং থং প্রদেশের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের একটি পদে ছিলেন। দ্য থাইগার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, এই কর্মচারী প্রায় ১০ বছর ধরে তাঁর সরকারি চাকরিতে যোগ দেননি। কারণ তিনি একটি নাইট ক্লাবে গান করেন। রাতের শহরে আমোদ-প্রমোদের আদর্শ জায়গা নাইট ক্লাব। সুরাপান থেকে নাচগান— সবই হয় নাইট ক্লাবগুলিতে। সারা রাত সেখানে গান গেয়ে পরের দিন আর চাকরিতে যোগ দিতে চাইতেন না ওই ব্যক্তি।
বছরের পর বছর ধরে এই কীর্তি চাপা পড়ে থাকলেও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ‘ওয়াচডগ’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তা প্রকাশিত হয়। কী ভাবে এক দশক ধরে কাজ না করেও বেতন পাচ্ছেন ওই কর্মী তা নিয়ে সমালোচনার ঝ়ড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনও কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। তাইল্যান্ডের আইন অনুসারে, দুর্নীতিতে জড়িত সরকারি কর্মীদের এক থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকার জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। ওই ব্যক্তি যা করেছেন, সেটি দুর্নীতির শামিল বলেই মনে করছেন বেশির ভাগ মানুষ।