China

প্রসবযন্ত্রণা উঠেছে মায়ের, চিকিৎসককে ফোন করে সন্তান প্রসব করাল ১৩ বছরের বালক!

দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আপৎকালীন পরিষেবা কেন্দ্রে ফোন করে ফুজিয়ান। পরিষেবা কেন্দ্রে চেন চাওশুন নামের এক চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ফুজিয়ান।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ১২:১৬

—প্রতীকী ছবি।

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের সঙ্গে বাড়িতে একা ছিল বালক। নিজের মতো খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল সে। হঠাৎ তার মায়ের প্রসবযন্ত্রণা উঠে যায়। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, যে কোনও মুহূর্তে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন তরুণী। এমন আপৎকালীন পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেবে তা ঠাহর করতে পারছিল না ওই বালক। দেরি না করে আপৎকালীন পরিষেবা কেন্দ্রে ফোন করে সে। ফোন করে এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সকল নির্দেশ মেনে মাকে সন্তান প্রসবে সাহায্য করে সেই বালক। ঘটনাটি চিনে ঘটেছে।

Advertisement

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১৩ বছরের বালকের নাম ফুজিয়ান। তার মা ৩৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মায়ের সঙ্গে একা বাড়িতে ছিল ফুজিয়ান। হঠাৎ ফুজিয়ানের মায়ের প্রসবযন্ত্রণা ওঠে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় যে, তিনি যে কোনও মুহূর্তে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আপৎকালীন পরিষেবা কেন্দ্রে ফোন করে ফুজিয়ান। পরিষেবা কেন্দ্রে চেন চাওশুন নামের এক চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ফুজিয়ান। ফুজিয়ান ফোনে কথা বলতে বলতে চেনকে জানায় যে, সে সন্তানের মাথাটুকু দেখতে পাচ্ছে। ফুজিয়ানকে ফোনেই চিকিৎসার নির্দেশ দিতে শুরু করেন চেন।

চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে মাকে সন্তান প্রসবে সাহায্য করে ফুজিয়ান। সংক্রমণ এড়ানোর এবং রক্তক্ষরণ থামানোর উপায়ও ফুজিয়ানকে জানিয়েছিলেন চেন। অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছোনোর পর স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখেন যে, মা এবং সদ্যোজাত দু’জনেই সুস্থ। তার পর দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনাটি জানাজানি হতেই নেটাগরিকদের একাংশ বালকের সাহসের প্রশংসা করেন। তাঁদের কথায়, ‘‘এমন অবস্থায় যে ভাবে শান্ত থেকে ফুজিয়ান পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।’’ আবার নেটব্যবহারকারীদের একাংশ এই ঘটনার সমালোচনাও করেছেন। এক জন এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘‘তরুণীকে এই অবস্থায় ১৩ বছরের বালকের সঙ্গে একা রেখে চলে যাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। পরিবারের কোনও প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যের সব সময় থাকা প্রয়োজন।’’

Advertisement
আরও পড়ুন