—প্রতীকী ছবি।
তিন দিনের জন্য ঘুরতে যাবেন তরুণী। প্রচুর পোশাক এবং প্রসাধনী সামগ্রী ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু বিমানবন্দরে ঢুকলে মালপত্রের অতিরিক্ত ওজনের জন্য তরুণীকে অতিরিক্ত মূল্যও দিতে হবে। সেই খরচ বাঁচাতে অন্য ফন্দি আঁটলেন তিনি। পোশাকের ভিতর প্রসাধনীর ব্যাগ এবং জ্যাকেট ভরে নকল স্ফীতোদর তৈরি করলেন তরুণী। তার পর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার নাটক করে বিমানে উঠে পড়লেন তিনি। সেই নাটক ধরাও পড়ল না তরুণীর। বিমানে চেপে দিব্যি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেলেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণীর নাম গ্রেস হ্যাল। আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা তিনি। ইংল্যান্ড থেকে বিমানে চেপে স্কটল্যান্ড ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। বিমানবন্দরে পৌঁছতে দেরি হয়ে যেতে পারে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে মালপত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন গ্রেস। তিন দিনের স্কটল্যান্ড সফরের জন্য দশটি ভিন্ন ধরনের পোশাক নিয়েছিলেন তিনি। মালপত্র নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠে প়়ড়েছিলেন গ্রেস। প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যাগ এবং একটি কোট তখনও হাতে ছিল তরুণীর।
বড় ব্যাগে তা ঢোকানোর চেষ্টা করলে ব্যর্থ হন গ্রেস। তিনি যে বিপদে পড়ে গিয়েছেন তা বুঝতে দেরি হয় না তরুণীর। মালপত্রের ওজন বেশি হয়ে গেলে বিমান সংস্থার তরফে অতিরিক্ত ওজনের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় ৪,২০০ টাকা থেকে ৬,৮০০ টাকা ধার্য করা হয়। সেই টাকা খরচ করতে চাইছিলেন না গ্রেস। তিনি ভাবলেন জামার ভিতর কোট এবং প্রসাধনী ব্যাগ ঢুকিয়ে নকল স্ফীতোদর তৈরি করবেন তিনি।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। সময়ে সময়ে অন্তঃসত্ত্বাদের উদরের আকারের কী রকম পরিবর্তন হয় তার ভিডিয়ো দেখতে শুরু করেন গ্রেস। গর্ভাবস্থার ২৮ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে বিমানে যাত্রার জন্য সেই বিমান সংস্থাকে ডাক্তারি ছাড়পত্র দেখাতে হয়। তা জানার পর গ্রেস সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার নাটক করবেন। সেই নির্দিষ্ট আকার অনুযায়ী স্ফীতোদরও তৈরি করে ফেললেন গ্রেস।
২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা কী ভাবে হাঁটাচলা করেন তা নেট ঘেঁটে দেখে ফেলেন তরুণী। তার পর জামার ভিতর কোট এবং প্রসাধনী ব্যাগ ভরে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার নাটক করে দিব্যি বিমানে চড়ে বসলেন তিনি। পরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে তিনি সমাজমাধ্যমে পুরো ঘটনাটি পোস্ট করে জানান। মজা করে লেখেন, ‘‘আমি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছি। তার নাম রেখেছি রায়ান।’’