Durga Puja 2024

‘মা সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে কেন যুদ্ধ করতে যাবেন?’ প্রথম একচালা ভাঙলেন গোপেশ্বর পাল

‘মৃন্ময়ী থেকে মানবী’— দেবী প্রতিমা নির্মাণে গোপেশ্বর পাল রেখে গিয়েছেন স্বকীয় ভাবধারা। ১৯৪৪ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত টানা ৯ বছর কুমোরটুলি সর্বজনীনের প্রতিমা বানিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:০৩
Advertisement

গোপেশ্বর পাল। জন্ম কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে। বাবা বিনোদবিহারি পাল, মা কুসুমকুমারী দেবী। ছোটবেলাতেই হারিয়েছিলেন মা এবং বাবাকে। বড় হওয়া মামার বাড়িতে। মৃৎশিল্পে তাঁর হাতেখড়ি পুতুল তৈরি দিয়ে। এর পর কলকাতায় আসা এবং লন্ডন যাওয়া। বাকিটা এক কথায় বিপ্লব! ভাস্কর্য নির্মাণে গোপেশ্বর ছিলেন অতুলনীয়। তাঁর ক্ষিপ্রতার জন্য সাহেবরা তাঁকে বলতেন, ‘লাইটনিং স্কাল্পটর’। হাতের কাজও ছিল সূক্ষ্ম। বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মূর্তির স্রষ্টাও তিনি। দুর্গা প্রতিমা বানাতে শুরু করেন ১৯৩৬-৩৭ সালে। একচালা ভেঙে প্রতিমায় আনলেন নতুন ভাবনা। কুমোরটুলি সর্বজনীনে যে বার আগুল লাগল, সে বার এক রাতের মধ্যে ঠাকুর গড়ে নেতাজির সম্মান বাঁচিয়েছিলেন এই গোপেশ্বর পাল। গোপেশ্বর পালের তৈরি প্রতিমার বিশেষত্ব ছিল প্রতিমার ‘অ্যানাটমি’। ১৯৪৪ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত টানা ৯ বছর কুমোরটুলি সর্বজনীনের প্রতিমা বানিয়েছেন তিনি। গোপেশ্বর পাল চলে যাওয়ার পর, তাঁর ভাইপো মণি পাল দু’বছর প্রতিমা গড়েছেন ঠিকই। কিন্তু তারপর থেকে আর তাঁর পরিবার মাটির দুর্গা গড়ে না। লন্ডন থেকে ফিরে এসে কুমোরটুলিতে নিজের যে স্টুডিয়ো তৈরি করেন গোপেশ্বর পাল, চলতি বছরে সেটি শতাব্দীর ইতিহাস ছুঁল। শিল্পের দৌলতেই বাংলার দুর্গা পুজো আজ ‘হেরিটেজ’। সরকারি তরফে বসেছে ‘ফলক’। কিন্তু শিল্পী কি তাঁর যোগ্য সম্মান পেলেন?

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement