আরজি করের ঘটনায় ১৬৪ দিন পর রায়। শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস দোষীর যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মতো অপরাধ যে বিরলের চেয়েও বিরলতম ঘটনা, তা প্রমাণই করতে পারেনি সিবিআই। আর তাই ফাঁসি হয়নি সঞ্জয় রায়ের। বিচারক বিচারে লিখেছেন, এই ঘটনা ‘বিরলতম নয়’। যা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নম্বর ঘরে যুক্তি এবং তর্কের যে আইনি লড়াই হয়েছে, সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তির সাপেক্ষে যথপোযোগ্য তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় সঞ্জয় রায়ই যে দোষী তা নিশ্চিত করেছে সিবিআই। সাজা ঘোষণার আগেও সিবিআইয়ের দেওয়া সমস্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাহলে শাস্তি চাওয়ার বেলায় কোথায় ভুল হল?