বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়র অতুল সুভাষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নাড়াচাড়া ফেলে দিয়েছে দেশে। ২৪ পাতার সুইসাইড নোট আর ৯০ মিনিটের ভিডিয়োয় অতুল জানিয়েছিলেন, ঠিক কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। না পাওয়ার কথা গোনাতে গোনাতে চলে গেলেন অতুল। ছোট্ট ছেলে জানতেও পারল না, কী ভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল বাবা। নিজেরই রেকর্ড করা ঘণ্টাদেড়েকের ভিডিয়োয় অতুল দাবি করেছিলেন, গত তিন বছর ধরে তিনি সন্তানের মুখ দেখেননি। ছেলেকে ভালবেসে বলতে পারেননি একটি কথাও! ভরসা বলতে মোবাইলে যত্নে রাখা ভাল সময়ের ছবি। কিন্তু বাবার মন কি মানে? তাই বার বার আদালতে হত্যে দিয়েছেন, স্ত্রীয়ের কাছে একটি বার সন্তানের মুখ দেখতে চাওয়ার আবেদন-নিবেদন করেছেন। স্ত্রী নিকিতার মন গলেনি। সন্তানও তাই দেখা পায়নি বাবার। এ সবই নিজের সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন অতুল। নিকিতা এবং অতুলের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল পারিবারিক আদালতে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে কী করা হবে, ভারতের আইনে তা স্পষ্ট করে দেওয়া আছে। আইন বলে, ভারতে বাচ্চাদের হেফাজতের ক্ষেত্রে মহিলাদের অগ্রাধিকার। কিন্তু, কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে সন্তানের ভার পেতে পারেন বাবাও। কী সেই ব্যতিক্রম?