Sundarban

অফিসে ছুটি পাননি? দু’দিনের জন্য মধুচন্দ্রিমা সেরে আসতে পারেন সুন্দরবন থেকে

মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার জন্য ছুটি পাননি? হাতে খুব বেশি দিন সময় না থাকলে বিয়ের পর বেরিয়ে আসতে পারেন সুন্দরবন থেকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩৯
ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের রহস্যময় হাতছানি নতুন জীবনের উদ্‌যাপন আরও জমকালো করে তুলবে।

ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের রহস্যময় হাতছানি নতুন জীবনের উদ্‌যাপন আরও জমকালো করে তুলবে। ছবিঃ সুচন্দ্রা ঘটক।

দীর্ঘ দিনের চেনা মানুষটিকেও বিয়ের পর নতুন লাগতে শুরু করে। বিয়ে মানে জীবনের এক নতুন অধ্যায়। নতুন জীবনের শুরুতেই পরস্পরকে নতুন করে আবিষ্কার করতে মধুচন্দ্রিমা হল আদর্শ সময়। চেনা পরিবেশ থেকে দূরে গিয়ে পরস্পরকে নিবিড় ভাবে চিনে নেওয়ার এর চেয়ে ভাল সুযোগ আর হয় না। পৌষ সংক্রান্তি পেরোলেই মাঘ মাস। বিয়ের মরসুম। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমার একটি পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন অনেকে। কিন্তু বিয়েতে ছুটি পেলেও মধুচন্দ্রিমার জন্য কোনও ছুটি মিলবে কি না, তা নিয়েও চলছে জল্পনা। হাতে খুব বেশি দিন সময় না থাকলে বিয়ের পর বেরিয়ে আসতে পারেন সুন্দরবন থেকে।

খরস্রোতা নদী, গহীন অরণ্য এবং সবুজ বনানী দিয়ে ঘেরা সুন্দরবন। এখানকার বাতাসে একটা বন্য গন্ধ লেগে রয়েছে। ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের রহস্যময় হাতছানি নতুন জীবনের উদ্‌যাপন আরও জমকালো করে তুলবে। সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হেতালের জঙ্গল আলিঙ্গন করে রেখেছে সুন্দরবনকে। মাতলা, বিদ্যাধরী থেকে আসা বাতাস সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় করবে। খরস্রোতার নদীর বুকে লঞ্চে চেপে পাড়ি দিতে পারেন বিভিন্ন গদখালির মতো দ্বীপে। ভাসতে ভাসতে চোখে পড়বে ছোট বড় নৌকো, ভটভটি, দূরে অলস জাহাজ, ট্রলার। মাঝেমাঝে কানে আসবে সুন্দরবনের মানুষের প্রাণ হাতে করে মধু সংগ্রহের গল্প। দু’পাশের জঙ্গলে যতদূর চোখ যায়, তাকিয়ে থাকবেন। কে বলতে পারে জল খেতে কিংবা রোদ পোহাতে বাঘ সামনে চলে আসতে পারে।

Advertisement
ভাসতে ভাসতে চোখে পড়বে ছোট বড় নৌকো, ভটভটি, দূরে অলস জাহাজ, ট্রলার।

ভাসতে ভাসতে চোখে পড়বে ছোট বড় নৌকো, ভটভটি, দূরে অলস জাহাজ, ট্রলার। ছবিঃ সুচন্দ্রা ঘটক।

লঞ্চে চেপে এক বার ভাসতে শুরু করলে, ফেরার কথা নাও মনে থাকতে পারে। দু’ধারের জঙ্গল রহস্যবৃত। কিন্তু সেখানে কারও যাওয়ার অনুমতি নেই। বন দফতরের কর্মীরাই একমাত্র যেতে পারেন সেখানে। দেশি-বিদেশি প্রচুর পাখি দল বেঁধে আসে সেখানে। লঞ্চে চেপে বেরোলে বঙ্গোপসাগরের মোহনাটা দেখে আসতে ভুলবেন না। জাল দিয়ে ঘেরা বাঘেদের ডেরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ। সজনেখালি, সুধন্যখালি, গদখালি, নেতিধোপানির সবুজ জঙ্গল মন কেড়ে নেবে। সুন্দরবনের সৌন্দর্য মোটামুটি এমনই। এমনিতে খুব শান্ত আর নির্জন জায়গা। জঙ্গল যাঁদের পছন্দ, সুন্দরবন তাঁদের হতাশ করবে না। সুন্দরবনের নদী স্রোতস্বিনী। রোদ পড়ে সোনার মতো ঝিকমিক করে। আর তেমনই উতাল হওয়া। মন এবং প্রাণ, দুই-ই শান্ত হয়ে যাবে।

কী ভাবে যাবেন?

গাড়ি করে যেতে পারেন। কলকাতা থেকে সড়কপথে গাড়ি করে যেতে পারেন। শিয়ালদহ থেকে লোকাল ট্রেনে করে ক্যানিং কিংবা জয়নগরে নামতে হবে। সেখান থেকে অটো বা টোটো করে পৌঁছতে হবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সোনাখালিও যেতে পারেন। সেখান থেকে লঞ্চে চেপে শুরু হবে সুন্দরবন যাত্রা।

কোথায় থাকবেন?

সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে অনেকেই লঞ্চে থাকতেই পছন্দ করেন। তা না চাইলে গোসাবায় দু’-একটি লজ রয়েছে। সেখানে থাকতে পারেন। এ ছাড়া ঝড়খালিতে নতুন কিছু রিসর্ট হয়েছে। চাইলে সেখানেও রাত্রিযাপন করতে পারেন। সজনেখালিতে বন দফতরের লজ রয়েছে। সেখানে থাকতে হলে আগে থেকে যোগাযোগ করতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement