সৌভাগ্য থাকলে পেঞ্চের জঙ্গলে দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গলের। ছবি: সংগৃহীত।
ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফির শখ আছে? তা হলে মধুচন্দ্রিমার জন্য পেঞ্চের জঙ্গল হতেই পারে আপনার আদর্শ ঠিকানা। শহরের কোলাহল থেকে দূরে জঙ্গলের নৈঃশব্দ্য, রোমহর্ষকতা উপভোগ করতে পারবেন পেঞ্চের জঙ্গলে। সেখানে হুড-খোলা সাফারি ভ্রমণের সময়ে ঢিলছোড়া দূরত্বেই দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও তার ছানাপোনাদের।
মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মাঝামাঝি জায়গায় পেঞ্চ। ছিন্দওয়াড়া ও সিওনি জেলার কেন্দ্রে এই জাতীয় উদ্যানের অবস্থান। কেবল বাঘ নয়, জঙ্গল জুড়ে রয়েছে সম্বর, নীলগাই, হরিণ, নেকড়ে, চিতাবাঘ, ময়ূরের আনাগোনা। পাহাড়, সমুদ্র তো অনেক ঘুরলেন, এ বার জঙ্গলের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করেই আসুন না!
‘জঙ্গল বুক’-এর মোগলি, বালু, আকিলাদের মনে আছে? পেঞ্চের জঙ্গলে গেলে মনে হতেই পারে আপনি যেন সেই ছোট্টবেলার গল্পের দেশে পৌঁছে গিয়েছেন। হবে না-ই বা কেন শুনি? সেই কাল্পনিক চরিত্রগুলি আদতে তৈরি হয়েছিল তো এই জঙ্গলকেই কেন্দ্র করে। তাই আর দেরি নয়। মধুচন্দ্রিমার জন্য আপনার গন্তব্য হোক পেঞ্চ জাতীয় উদ্যান।
মধুচন্দ্রিমার জন্য ইদানীং সকলেই বিলাসবহুল সব হোটেল কিংবা রেসর্টের খোঁজ করেন। পেঞ্চের জঙ্গলে একাধিক বিলাসবহুল রিসর্ট রয়েছে। সকাল, দুপুর আর বিকেলে জঙ্গলে সাফারির ট্যুর করে বাকি সময়টা রেসর্ট কাটাতে মন্দ লাগবে না। জঙ্গলের মাঝে সেই সব রিসর্টে মাঝেমধ্যেই কানে আসবে বাঘ কিংবা নেকড়ের গর্জন।
এমনকি সৌভাগ্য থাকলে রিসর্টে আসার পথেও দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গলের। দুপুরের দিকে চারপাশের গ্রামটা ঘুরে দেখতেও মন্দ লাগবে না। জঙ্গল সাফারির সময়ে রিসর্টের তরফেই আপনার জন্য জলখাবার, চা-কফির ব্যবস্থা করা হবে। বাঘের অপেক্ষায়, তাই খিদে পেলেও রয়েছে ব্যবস্থা। রিসর্টগুলিতে পেয়ে যাবেন স্পা ঘর। সেখানে ঘণ্টাখানেকের সেশন নিলে শরীরের সব ক্লান্তি দূর হবে। হাতে যদি সময় কম থাকে, তা হলে কিন্তু পেঞ্চের জঙ্গলে ঘুরে আসতেই পারেন। তিন দিনের ছুটি থাকলেই কেল্লাফতে! পাহাড়, সমুদ্র হাতছানির বাইরে বেরিয়ে জঙ্গলের মাঝে সঙ্গীর সঙ্গে নিশিযাপনের অভিজ্ঞতা সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
কী ভাবে যাবেন?
পেঞ্চের নিকটতম বিমানবন্দর হল নাগপুরে। সেখান থেকে জাতীয় উদ্যানের দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। গাড়িতে যেতে সময় লাগবে ঘণ্টা দুয়েক। ট্রেনে যেতে হলে নিকটবর্তী স্টেশনও নাগপুর।
কোথায় থাকবেন?
পেঞ্চের জঙ্গলে একাধিক রিসর্ট রয়েছে। পেঞ্চে গেলে খোকা ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্পে রাত্রিবাস করতে পারেন। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা।
যোগাযোগ: ০৯৮২৭২৭১১০১