পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসতেই পারেন তুঙ্গভদ্রার তীরে অবস্থিত হাম্পি থেকে। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসছে, এই অনুভূতিটাই অগণিত মানুষের কাছে একটা আবেগ। গোটা বছরের এই চার-পাঁচটা দিনকে ঘিরে যত উৎসাহ-উদ্দীপনা। কেউ মনের আনন্দে কেনাকাটা করে, কেউ বা ঘুরে বেড়িয়ে কাটিয়ে দিতেই ভালবাসেন। পুজোর ক’টা দিন শহর ছেড়ে যেতে চান না অনেকেই। আবার তরুণ প্রজন্মের অনেকের মধ্যেই পুজো নিয়ে তেমন উন্মাদনা নেই। যে হেতু তাঁরা সারা বছর খুব বেশি ছুটি নিতে পারেন না, তাই এই ক’টা দিন কাজ থেকে ছুটি নিয়ে একেবারে শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। তবে এ বারে আর পাহাড়, সমুদ্র নয়, এমন কোনও জায়গায় যেতে চান, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতের ইতিহাস। রইল তেমন কয়েকটি জায়গার খোঁজ।
১) পুষ্কর, রাজস্থান
গরমে প্রচণ্ড গরম এবং শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে রাজস্থানে। তাই অনেকেই রাজস্থান ঘুরতে যাওয়ার জন্য পুজোর এই আরামদায়ক সময়টিকেই বেছে নেন। গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র পুষ্করেই রয়েছে ব্রহ্মার মন্দির। এ ছাড়াও রয়েছে ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত রাজা-মহারাজাদের একাধিক রাজপ্রাসাদ। পুষ্করের বিখ্যাত উটের মেলা দেখতে গেলে আসতে হবে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে।পুণ্যার্থীদের কাছে পুষ্কর হ্রদে স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক রাজস্থান ঘুরতে আসেন পুষ্করের টানে।
২) হাম্পি, কর্ণাটক
দক্ষিণ ভারতের একটি জনপদ হল হাম্পি। অথচ এক সময়ে হাম্পিই ছিল প্রবল পরাক্রান্ত বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী। মন্দির ভাস্কর্যের জন্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে হাম্পিকে সম্মানিত করেছে ইউনেসকো। তুঙ্গভদ্রার তীরে অবস্থিত প্রাচীন এই শহর হয়ে উঠতেই পারে পুজোর ক'টা দিনের গন্তব্য। ১৩৩৬ থেকে ১৬৭২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ‘সঙ্গম’, ‘সালুভ’, ‘তুলুভ’ এবং ‘আরবিভু’ নামে চারটি রাজবংশের রাজত্ব চলেছিল এখানে। এখানে এলে প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন বিরূপাক্ষ বা পম্পাপতির মন্দির দেখতেই হবে। রয়েছে বিজয়বিঠ্ঠল মন্দির, মিউজ়িক টেম্পল, হাতিশালা, লোটাস মহল, কমলাপুরা মিউজ়িয়াম। হাতে সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন হাম্পি গ্রামও।
৩) পটনা, বিহার
মগধ সাম্রাজ্যের পাটলিপুত্রই এখনকার বিহারের রাজধানী পটনা। কাছাকাছি রয়েছে রাজগীর, নালন্দা, বৈশালি, পাওয়াপুরী এবং বুদ্ধগয়া। চাইলে এগুলিও ঘুরে আসতে পারেন। তবে পটনায় এলে মার্বেল পাথরে তৈরি গোলঘর, মহাবীর মন্দির, পটনার সাহিব গুরুদ্বার, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়,পটনা মিউজ়িয়াম ঘুরে দেখতেই হবে।