প্রতীকী চিত্র।
হাতে সময় কম। তারই মধ্যে ঘুরতে যেতে হবে। যাতায়াতের সময় যদি কিছুটা বাঁচানো যায়, সে উদ্দেশ্যে ট্রেন বা বাসের বদলে বিমানকেই বেছে নেন অনেকে। তবে যাঁরা নিয়মিত আকাশপথে যাতাযাত করেন, তাঁরা বিমানের চড়ার নিয়মকানুন সম্পর্কে অবহিত। কিন্তু যাঁরা খুব বেশি বিমানে চেপে ঘুরতে অভ্যস্ত নন, তাঁদের কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
বিমানে যাত্রার সময় আপনি একটি নির্দিষ্ট ওজন পর্যন্ত মালপত্র হ্যান্ডব্যাগে নিজের সঙ্গেই রাখতে পারেন। আর অন্য মালপত্রগুলি ‘চেক ইন ব্যাগেজ’-এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিমানের ‘চেক ইন ব্যাগেজ’-এ কিছু জিনিস নিয়ে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। কেবল ছুরি, কাঁচি নয়, আরও কিছু জরুরি জিনিসও আপনি চাইলে ‘চেক ইন ব্যাগেজ’-এ নিয়ে যেতে পারবেন না। যাত্রা করার আগে জেনে নিন, কী কী রয়েছে সেই তালিকায়।
বৈদ্যুতিন যন্ত্র: কোনও রকম বৈদ্যুতিন যন্ত্র যেমন, ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ফোন, ইলেকট্রনিক খেলনা, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, স্মার্ট ওয়াচ, ক্যালকুলেটর, কার্লার, স্ট্রেটনার, ইস্তিরি— ‘চেক ইন ব্যাগেজ’-এ রাখা যায় না।
শুকনো নারকেল: শুনতে অবাক লাগলেও, চেক ইন ব্যাগেজ’-এ শুকনো নারকেল রাখার নিয়ম নেই। নারকেলে তেলের মাত্রা বেশি থাকায় একে দাহ্য পদার্থ হিসাবে দেখা হয়। তাই বিমানে চড়ার সময় চেক ইন ব্যাগেজ’-এ নারকেল ভুলেও রাখবেন না।
তীক্ষ্ণ কোনও যন্ত্র: ছুরি, কাঁচি, রেজ়র কিংবা কোনও ধারালো জিনিস চেক ইন ব্যাগেজ’-এ ভুলেও রাখবেন না। নইলে বিমানে ওঠার সময় এই কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন।
সুগন্ধি: ঘুরতে গেলেও সঙ্গে বিভিন্ন রকম সুগন্ধি রাখেন অনেকে। আবার ঘুরেফিরে আসার সময় বন্ধু, আত্মীয়দের উপহার দেওয়ার জন্য সুগন্ধি কিনেও আনেন। কিন্তু বেশির ভাগ সুগন্ধিতে স্পিরিট থাকে। এ ধরনের স্পিরিটজাতীয় সুগন্ধি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম আছে। নির্দিষ্ট একটি মাপের উপর কোনও কিছুই বিমানে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই সে বিষয়েও সতর্ক থাকা জরুরি।
খাবার: বিমানে আপনি খাবার নিয়েই যেতে পারেন। স্যান্ডউইচ, পরোটা, ম্যাগি, নুডল্স-এ কোনও সমস্যা নেই তবে কিছু খাবার আপনি চেক ইন ব্যাগেজ’-এ রাখতে পারবেন না। যেমন, তেল, অ্যালকোহল আছে এমন সস্, এরোসল ক্যানে প্যাকেটজাত কোনও খাবার, ঘি, আচার, পান, পোস্তর মতো বেশ কিছু খাবার বিমানে নিয়ে যেতে পারবেন না আপনি। এক একটি দেশের নিয়ম আলাদা, এক একটি বিমান সংস্থারও নিয়ম আলাদা। তাই যাত্রার আগে অবশ্যই এই বিষয় ভাল করে জেনে নেওয়া জরুরি।