এমনিতেই বিমান সফরের খরচ কিছু কম নয়। তার উপর এই বাড়তি খরচ হয়ে গেলে একবারে অনেকটাই বেশি টাকা গচ্ছা যায়। ছবি: সংগৃহীত
কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে যদি সঠিক পরিকল্পনা না করেন, তা হলে অনেক সময়ই বিভিন্ন জিনিস নিতে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শেষ মুহূর্তে বিমানবন্দরে এসে মনে পড়ায়, অনেকেই সেগুলি বিমানবন্দরের দোকান থেকে কিনে নেন। কিন্তু এই জিনিসগুলির দাম বিমানবন্দরে বাইরের বাজারের মূল্যের চেয়ে অনেকটাই বেশি হয়। এমনিতেই বিমান সফরের খরচ কিছু কম নয়। তার উপর এই বাড়তি খরচ হয়ে গেলে একবারে অনেকটাই বেশি টাকা গচ্ছা যায়। তখন আফসোস হলেও কিছু করার থাকে না।
বিমানবন্দরের ডিউটি ফ্রি দোকানগুলি থেকে অনেক কিছু কেনাকাটা করা যায়। তাতে খরচ বাঁচে তো বটেই। কিন্তু এই জিনিসগুলি কিনতে গেলেই ভুল করবেন। দেখে নিন তালিকাটা।
১। বাড়তি মালের জায়গা
প্রত্যেকটি বিমানসংস্থাই নির্দিষ্ট ওজনের মাল বিনামূল্যে সঙ্গে নিতে দেয়। আপনার মালপত্রের ওজন যদি তার চেয়ে বেশি হয় তা হলেই বাড়তি টাকা দিতে হয়। যদি বোঝেন যে, তার চেয়ে বেশি ওজনের মাল আপনার হতে পারে, তা হলে আগে থেকেই অনলাইনে বাড়তি ওজনের জন্য কিছু টাকা জমা দিয়ে দিন। না হলে বিমানবন্দরে গিয়ে যদি চেক ইন কাউন্টারে কিনতে যান, কেজি পিছু অনেক বেশি টাকা দিতে হবে।
২। ওষুধ
জরুরি কিছু ওষুধ সফরের আগেই গুছিয়ে হাতের কাছে রাখুন। ওষুধের ব্যাগ সব সময়ে হ্যান্ড ব্যাগেই রাখা ভাল। যাতে হঠাৎ দরকার পড়লে সফরের মাঝেও ব্যবহার করতে পারেন। তা না হলে যদি বিমানবন্দরের ওষুধের দোকান থেকে কিনতে যান, তা হলেই অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে।
৩। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি
বিদেশ সফরে যাচ্ছেন? অনেক সময়ে আপনার ফোনের চার্জার হয়তো সে দেশের সুইচবোর্ডে না-ও ঢুকতে পারে। আগে থেকে খোঁজ নিয়ে সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী এক্সটেনশন কিনে রাখুন। বিমানবন্দরে নেমে যদি কিনতে যান, পকেট থেকে অনেক বেশি টাকা খসবে!
৪। আত্মীয়দের জন্য উপহার
অনেক সময়ে আমরা ঘুরতে গিয়ে আত্মীয় বা বন্ধুদের জন্য উপহার কিনতে ভুলে যাই। শেষ মুহূর্তে বিমানবন্দরের দোকান থেকে কিছু কিনে নিই মুখরক্ষার জন্য। এতে কিন্তু অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায় আমাদের। একই জিনিস কিংবা আরও অনেক ছোটখাটো উপহার সহজেই সেই জায়গার স্থানীয় দোকান থেকে কিনলে অনেক সস্তা পড়ে। তবে কেউ যদি চকোলেট দিতে চান, তা ডিউটি ফ্রি দোকান থেকে কেনাই ভাল।
৫। খাবার
খুব তাড়াহুড়োয় বিমান ধরার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন? সফরের জন্য কোনও খাবার যদি সঙ্গে না নেন, তা হলেই দিতে হবে এক গুচ্ছ টাকা। বিমানবন্দরের দোকানে বা বিমানে যে খাবার পাওয়া যায়, তা এমন কিছু সুস্বাদু হয় না। আবার দামও হয় বেশ চড়া। সঙ্গে খালি জলে বোতল নিয়ে এসে বিমানবন্দর থেকে ভরে নিন। না হলে জলের বোতলও কিনতে হবে অনেক টাকা দিয়ে!
৬। বিদেশি মুদ্রা
যে দেশে যাবেন, সে দেশের মুদ্রা টাকার বিনিময়ে কিনে নিন আপনার শহর থেকেই। তবেই বাজার দর অনুযায়ী সঠিক মূল্য পাবেন। যদি গন্তব্যে গিয়ে বিমানবন্দর থেকে কিনতে যান, তা হলে অনেকটা চড়া দরে কিনতে হতে পারে।