শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে গেলে অবশ্যই আসতে হবে উদা ওয়ালাওয়ে জাতীয় উদ্যানে। ছবি: সংগৃহীত।
শ্রীলঙ্কা এখন অনেকটাই শান্ত। একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সিংহল। পর্যটনশিল্পে জোয়ার আনতে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারতীয়দের বিনামূল্যে ভিসা দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তবে শুধু শ্রীলঙ্কা নয়, রাশিয়া, চিন, তাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং জাপানও রয়েছে তালিকায়। এর মধ্যে ভারতের সবচেয়ে কাছে রয়েছে দারুচিনির দেশ শ্রীলঙ্কা। পর্যটকদের আকর্ষণের মূলে রয়েছে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমুদ্রতট, গহীন অরণ্য, সিংহলি কুইজ়িন এবং সেই দেশের সংস্কৃতি। কিন্তু সেই দেশে যদি ঘুরতে যান, কোন তিনটি জায়গা ঘুরে দেখতেই হবে জানেন?
১) অনুরাধাপুর
ইতিহাস কিংবা প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়ে উৎসাহ আছে? তা হলে অবশ্যই ঘুরে আসতে হবে শ্রীলঙ্কার এই শহর থেকে। প্রাচীন সভ্যতা এবং পুরাতাত্ত্বিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত অনুরাধাপুর। কলম্বো থেকে এই শহরের দূরত্ব ২০৫ কিলোমিটার। প্রাচীন স্থাপত্য এবং বৌদ্ধধর্মের বহু নির্দশন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এখানে। প্রাচীন বৌদ্ধমঠ, উপাসনালয়, বৌদ্ধমূর্তি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু পর্যটক এখানে আসেন।
২) উদা ওয়ালাওয়ে জাতীয় উদ্যান
বিদেশে গিয়ে যদি একটা জঙ্গল সাফারি না করেন, তা হলে ঘোরাটা কেমন অসম্পূর্ণ থেকে যায় না? শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে গেলে কিন্তু সেই আক্ষেপ থাকবে না। এখানকার উদা ওয়ালাওয়ে জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে গেলে মনে হতেই পারে আপনি পূর্ব আফ্রিকায় ঘুরতে এসেছেন। এখানকার বিস্তীর্ণ জঙ্গল, ঘাসজমি এবং গহীন অরণ্যের মাঝে দেখা পেতেই পারেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, সাম্বার হরিণ, হাতির পালের।
৩) সিগিরিয়া
শ্রীলঙ্কার একটি বিখ্যাত পর্যটনস্থল হল সিগিরিয়া গুহামন্দির। দুর্ভেদ্য জঙ্গলের মধ্যে ৬০০ ফুট উঁচু পাথর কেটে প্রাসাদ তৈরি করা হয়েছিল। যা বাইরে থেকে দেখতে অনেকটা মৌমাছির চাকের মতো। তবে স্থানীয়দের কাছে এই সিগিরিয়া ‘লায়ন রক’ নামেও পরিচিত। দুর্গের প্রবেশপথে রয়েছে পাথরের বিশাল এক সিংহমূর্তি। যা এখন অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই থেকেই সিগিরিয়ার নাম হয় ‘লায়ন রক’। শোনা যায়, এক সময়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আশ্রম হিসাবে ব্যবহৃত হত এই সিগিরিয়া।