Work from home

Remote Working: ঘনবসতির কোভিড আতঙ্ক এড়াতে অফিসের ল্যাপটপ নিয়ে চাইলে যেতে পারেন শহর থেকে দূরে

‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মানে যে বাড়িতে বসেই কাজ করতে হবে এমন তো নয়। তাই অনেকেই বাড়ির বদলে ল্যাপটপ বগলদাবা করে পারি দিতে চাইছেন একটু নিরিবিলিতে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:০১
রাখলে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’কে বদলে ‘ওয়ার্ক ফ্রম নেচার’ করে নিতে পারি দিন শান্তিনিকেতন।

রাখলে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’কে বদলে ‘ওয়ার্ক ফ্রম নেচার’ করে নিতে পারি দিন শান্তিনিকেতন। ছবি: সংগৃহীত

কোভিডের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা অফিসের দৈনন্দিন ভিড় কমাতে কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছে বাড়ি থেকেই কাজ করতে। কিন্তু এই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মানে যে বাড়িতে বসেই কাজ করতে হবে এমন তো নয়, তাই অনেকেই বাড়ির বদলে ল্যাপটপ বগলদাবা করে পারি দিতে চাইছেন একটু নিরিবিলিতে। তাতে যেমন কাজও করা যাবে মন দিয়ে, তেমনই মিলবে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে একটু বুক ভরে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ। তবে বেশি দূরে যাওয়ার যেমন সুযোগ নেই, তেমনই এই ধরনের পরিকল্পনা করতে হলে থাকতে হবে ইন্টারনেট ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা। সে সব দিক মাথায় রাখলে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’কে বদলে ‘ওয়ার্ক ফ্রম নেচার’ করে নিতে সপ্তাহ খানেকের জন্য পারি দিতে পারেন শান্তিনিকেতন।

Advertisement
শান্তিনিকেতনের সাত সতেরো

শান্তিনিকেতনের সাত সতেরো ছবি: সংগৃহীত

কী করে যাবেন
হাওড়া থেকে ট্রেনে চেপে শান্তিনিকেতন যেতে হলে নামতে হবে বোলপুর স্টেশনে। আড়াই-তিন ঘণ্টার বেশি সময় লাগে না পৌঁছতে। আগে থেকে টিকিট কাটার দরকার পড়ে না। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে কোন ট্রেন চলছে তা আগে থেকে জেনে নেওয়া ভাল। লোকজন এড়িয়ে আসতে চাইলে সড়কপথেও চলে আসতে পারেন। নিজস্ব গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই, না থাকলে অ্যাপ ক্যাবে চেপেও চলে আসা যায় স্বচ্ছন্দে। লাল মাটি, শাল পলাশের জঙ্গলের মধ্য দিয়ে আসতে আসতে ভুলেই যাবেন শহরের কোলাহল।

কোথায় থাকবেন
সপ্তাহ খানেকের জন্য গেলে হোটেলে থাকার বদলে থাকতে পারেন হোম স্টে বা গেস্ট হাউজে। বিশ্বভারতী চত্বরের থেকে একটু দূরে এদিক ওদিক গেলেই এই ধরনের অনেক হোম স্টে ও গেস্ট হাউজের খোঁজ পেতে পারেন। যাঁরা একা আসবেন তাঁদের থাকার জন্য রয়েছে নানা রকমের হস্টেলও। পরিচিত কেউ থাকলে ভাড়া পেয়ে যেতে পারেন ঘরও। খরচ অনেকটাই কমবে এতে।

কেন শান্তিনিকেতন
কোভিডের কথা মাথায় রেখে জানুয়ারির শুরুতেই বন্ধ থাকছে সোনাঝুরির হাট। কিন্তু যাঁরা কাজ করবেন বলে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে নিরিবিলিতে কয়েকটা দিন কাটানোই যেহেতু মুখ্য, তাই সেটা নিয়ে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সারা দিন কাজের পর দূরত্ববিধি বজায় রেখেই পায়ে হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন খোয়াই কিংবা সকালে প্রাতঃভ্রমণে ঘুরে নিতে পারেন কবির প্রাণের ছাতিমতলা কিংবা কোপাই। দূর থেকে ভেসে আসা বাউল গানের সুরে যেমন স্নিগ্ধ হবে মন, তেমনই নিরিবিলিতে দূরে থাকবে ভাইরাসের আতঙ্কও।

Advertisement
আরও পড়ুন