River Cruise

কাশী থেকে ঢাকা হয়ে ডিব্রুগড়, প্রমোদতরীর সূচনা করবেন মোদী, পেরিয়ে যাবে ২৭টি নদনদী

বারাণসীর গঙ্গা আরতি দেখা দিয়ে শুরু। শেষটা হবে অসমের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্য ভ্রমণে। মাঝে প্রায় গোটা সুন্দরবন। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের জল-জঙ্গল দেখার অভূতপূর্ব সুযোগ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:০২
মোট ৫০টি পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাবে এই প্রমোদতরী।

মোট ৫০টি পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাবে এই প্রমোদতরী। ছবি: সংগৃহীত।

প্রমোদতরীর এত বড় যাত্রাপথ নেই বিশ্বের কোথাও। এ বার তারই সূচনা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার সঙ্গে জুড়ে যাবে পড়শি দেশ বাংলাদেশও। আগামী ১৩ জানুয়ারি সূচনা হবে ৩,২০০ কিলোমিটার জলপথ পাড়ি দেওয়া সেই প্রমোদতরী। যা মোট ২৭টি নদনদী ধরে এগিয়ে যাবে। গোটা পথ পার হতে সময় লাগবে ৫০ দিন।

মোদীর লোকসভা কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র হয়ে প্রমোদতরী যাবে অসমের ডিব্রুগড়ে। পথে পড়বে ঢাকা। বাংলাদেশের রাজধানী শহর ছুঁয়ে এই জল-যাত্রায় বিদেশি পর্যটক টানাই মূল লক্ষ্য।

Advertisement

গত শুক্রবারই হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছেন মোদী। সেই সঙ্গে সূচনা হয়েছে জোকা-তারাতলা মেট্রো রেল পরিষেবার। সেই অনুষ্ঠানের সময়েই মোদী জানান, প্রমোদতরণীতে ভ্রমণের মাধ্যমে পর্যটনের উন্নতিতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। সেই সব উদ্যোগের অন্যতম এই বারাণসী থেকে ডিব্রুগড় সফর। বাংলার মানুষ যাতে এই পরিষেবা ব্যবহার করেন সেই অনুরোধও করেন মোদী।

এই যাত্রার সূচনা বারাণসী থেকে। নদী থেকে বারাণসীর গঙ্গা আরতি খুবই আকর্ষণীয়। সেই আরতি দর্শন দিয়েই শুরু হবে পর্যটকদের বিনোদন। আর শেষটা হবে অসমের কাজিরাঙ্গা জঙ্গল ভ্রমণ দিয়ে। মোট ৫০টি পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাবে এই প্রমোদতরী। তবে সবচেয়ে বড় পাওনা হবে সুন্দরবন দর্শন। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদের বিস্তীর্ণ জল-জঙ্গল দেখা যাবে। পার করবে বাংলাদেশের ১,১০০ কিলোমিটার জলপথ।

সরকারি উদ্যোগে হলেও এই প্রমোদতরী পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে বেসরকারি সংস্থার হাতেই। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোটা দেশে এমন অনেক জলপথ পরিবহণের ব্যবস্থা করা হবে। পণ্য পরিবহণের পাশাপাশি প্রমোদতরী চালানোরও ব্যবস্থাও করা হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement